বৃহস্পতিবার ● ৪ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » রামগড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আঙ্গুল তুলে স্বাশালেন ওসি
রামগড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আঙ্গুল তুলে স্বাশালেন ওসি
মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :: এবার মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধাদের মুখোমুখি আঙ্গুল তুলে স্বাশালেন রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাঈন উদ্দিন খাঁন৷ এ ব্যাপারে ওসির বিভিন্ন বক্তব্য ও আচরণে ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধারা শঙ্কাপ্রকাশ করে বলেন, এই ওসি রামগড় থানায় কর্মরত থাকলে এখানকার সাধারণ মানুষসহ মুক্তিযোদ্ধারা ন্যায় বিচার পাবেনা৷ তারা শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের সরকার উল্লেখ করে জঙ্গীবাদ দমন ও দেশের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় রামগড় থেকে ওসি মাঈন উদ্দিনের প্রত্যাহার এখন জরুরী৷ এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড অবিলম্বে ওসি মাঈন উদ্দিনের প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন৷
পুর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী ৩ আগষ্ট বুধবার সকাল ১০টার দিকে রামগড়ে দেশব্যপী চলমান জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদসহ সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্চনা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হত্যার ঘটনায় পুলিশের রহস্য জনক ভুমিকার মতো বিভিন্ন ইস্যুতে মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করণের জন্যে মানববন্ধন কর্মসুচী থেকে এই দাবী জানান মুক্তিযোদ্ধারা ৷ অন্যথায় আগামী ১৬ই আগষ্ট খাগাড়ছড়ি জেলায় সকাল সন্ধ্যায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন করার ঘোষনা দেন৷ জানা গেছে,মানববন্ধন চলাকালে রামগড় থানার ওসি মাঈন উদ্দিন খাঁন আকর্ষিক ভাবে এসে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইস উদ্দিন সহ মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দের উপর চড়াও হন এবং আঙ্গুল তুলে তাদের স্বাশিয়ে মানববন্ধন প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ এতে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়ে তাত্ক্ষনিক ভাবে এর প্রতিবাদ জানান৷ পরে মানববন্ধন শেষে রামগড় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে এক বৈঠকে বসেন৷ বৈঠকে শান্তিপূর্ণ মানবববন্ধনে ওসির অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান৷ বৈঠকে আগামি ১৬ই আগষ্টের মধ্যে ওসি মাঈন উদ্দিন খাঁনের প্রত্যাহার সহ উপযুক্ত শাসত্মির দাবী জানানো হয় ৷ এ সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে আগামি ১৬ আগষ্ট থাগড়াছড়িতে সকাল সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ঘোষনা দেয়া হয়৷ এ সময় মৃত জোহুরা বিবির ভাই নাঈম ও ইস্কান্দার দাবী করেন,আমার বোন আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে৷ পুলিশ তাদের কোন অভিযোগ আমলে নেয়নি৷ বরং এস আই মোবারক এই ঘটনায় বিবাদী পক্ষের সাথে আপোষ করার জন্য বার বার পরামর্শ দেন৷ মামলাটির এজাহারে যা লেখা হয়েছে তা পুলিশের নিজস্ব লেখা উল্লেখ করে,মামলাটি পুণরায় লিপিবদ্ধ করে প্রকৃত দোষীদের আইনের মাধ্যমে দৃষ্টানত্ম মুলক শাস্তির দাবী জানান৷ বৈঠকে খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইস উদ্দিন, রামগড় উপজেল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজুর রহমান, জেলা মুক্তি যোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক মোঃ হারুন মিয়া, সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, রামগড় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি খাজা নাজিম উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷ এদিকে মুক্তিযেদ্ধাদের স্বাশানোর অভিযোগের বিষয়ে রামগড় থানার ওসি মো: মাঈন উদ্দিন খাঁনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন৷৷