শুক্রবার ● ৫ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে পীস একাডেমি এখন নূরজাহান স্কুল অ্যান্ড কলেজ
গাজীপুরে পীস একাডেমি এখন নূরজাহান স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২১ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৩০মিঃ) গাজীপুর শহরের হাড়িনাল সড়কের বরুদা এলাকার ন্যাশনাল পীস একাডেমির নাম পরিবর্তন করে নূরজাহান স্কুল অ্যান্ড কলেজ নাম করা হয়েছে৷ পীস একাডেমির প্রধান ফটক থেকে সাইবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং এর সামীনা প্রাচীর থেকে সাদা রং দিয়ে ‘পীস’ লেখাটি মুছে ফেলা হয়েছে৷ এখন নুরজাহান স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম৷
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. বাদল আহম্মেদ আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, ২০১৩ সাল থেকে ন্যাশনাল পীস নামে এ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়৷ ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে মালয়েশিয়া প্রবাসী সুলতান উদ্দিনের বাড়ির দুইটি ফ্লোর মাসিক ৩৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে তাতে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়৷ বর্তমানে সরকার বাংলাদেশে ভারতের বিতর্কিত ইসলামী বক্তা জাকির নায়েকের পিস টিভির সমপ্রচার ও পিস স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলে আমি প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে নূরজাহান স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামকরণ করি৷
তিনি আরও জানান, এতে প্লে থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়৷ স্কুলটিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে ৯২ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে৷ স্কুলটির কোনো নিবন্ধন করা হয়নি৷ এ কারণে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ স্কুলে ক্লাস করলেও বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়৷ আর অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাশের হাড়িনাল হাইস্কুল থেকে নিবন্ধন করানো হয়৷ তবে তারাও ক্লাস করে থাকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে৷ তবে কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে সরকারি পাঠ্যবই এনে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের৷
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুলের নাম কাগজে-পত্রে পরিবর্তন করে নূরজাহান স্কুল অ্যান্ড কলেজ করা হলেও এ নামের কোনো সাইনবোর্ড টাঙানো হয়নি৷ তবে স্কুলটির ভ্যান এবং পীস ভবনের সীমানা প্রাচীরে লেখা নাম সাদা রঙ দিয়ে মুছে ফেলা হয়েছে৷ এছাড়া ওই নামের আগের সাইনবোর্ডটিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে৷
একইভাবে চন্দনা-চৌরাস্তার পাশে স্যাটেলাইট টাউনে স্থাপিত পীস স্কুলটির সাইনবোর্ড সারিয়ে ফেলা হয়েছে৷
গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোফাজ্জল হোসেন আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিকে জানান, ওইসব প্রতিষ্ঠানের কোনো নিবন্ধন দেয়া হয়নি৷ তবে প্রাথমিক শিক্ষার বইয়ের আবেদন করায় বই সরবরাহ করা হয়েছে৷
গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিকে বলেন, ন্যাশনাল পিস একাডেমির নাম পরিবর্তন সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই৷ খোঁজ নিয়ে দেখব৷