শনিবার ● ৬ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » গাজীপুরে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা
গাজীপুরে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২২ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৫৯মিঃ) গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে ৬ আগস্ট শনিবার সকালে এক বর্ণাঢ্য র্যালী ও মেডিকেল কলেজের ৪র্থ তলায় সভা কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবদুল বাছেদের পরিচালনায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মো. কমর উদ্দিনের সভাপতিত্বে “শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো টেকসই উন্নয়নের অন্যতম চাবি-কাঠি” এই প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি গাজীপুরের জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মো. আলী হায়দার খান৷
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও স্বাচিপের জেলা সভাপতি ডাঃ মো. আমীর হোসাইন রাহাত, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) ডাঃ খায়রম্নল আনাম (তুহিন), গাইনী বিভাগের রেজিস্টার সার্জারী ডাঃ তাসলিমা আক্তার লিপি প্রমুখ৷
আলোচনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সুশান্ত সরকার, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. আবদুস সালাম সরকার, আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি,হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স কর্মকর্তা ও কর্মচারী৷
বক্তারা বলেন, জন্মের পর থেকে প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ দিতে হবে৷ এ সময়ে শিশুকে আলাদা করে পানি পর্যন্ত খাওয়ানোর প্রয়োজন হয় না৷ কারণ মায়ের দুধ শিশুর পানির প্রয়োজনও মেটায়৷ সঠিক নিয়মে নিয়মিত শিশুকে বুকের দুধ খেতে দিলে শিশু ও মা উভয়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে৷ ছয় মাস বয়স পূর্ণ হলে বুকের দুধের পাশাপাশি পারিবারিক খাবার দিতে হবে ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত ৷ ফলে মা ও শিশু উভয়েরই স্বাস্থ্য ভালো থাকবে৷
বক্তারা আরো বলেন, মায়েদের স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে৷ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে জাতি হয় উপকৃত৷ মাতৃদুগ্ধ পানের মধ্য দিয়ে সন্তান ও মায়ের মধ্যে তৈরি হয় এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক৷
এর আগে সকাল ৯টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেট থেকে বনাঢ্য একটি র্যালি বের হয়৷ র্যালিটি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে পুনরায় হাসপাতালে এসে শেষ হয়৷ র্যালির নেতৃত্ব দেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের সহকারী পরিচালক ডাঃ মো. কমর উদ্দিন৷