শনিবার ● ৬ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বন্যায় পানিবন্দী ও ক্ষতিগ্রস্তরা হতাশায় পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তা দাবী
বন্যায় পানিবন্দী ও ক্ষতিগ্রস্তরা হতাশায় পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তা দাবী
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :: (২২ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.০০মিঃ) যমুনার পানি কমলেও জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো এখনও প্লাবিত রয়েছে৷ পানিবন্দী মানুষেরা ওয়াপদাবাঁধে এখনো দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে৷ আর বন্যায় ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুনরায় বাড়ীতে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে৷ কাজকর্ম না থাকায় ঘর মেরামত জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও সরকারের প্রতি আর্থিক সহায়তা দাবী করেছেন৷ এদিকে, পাউবো সঠিক সময়ে সংরৰন কাজ শেষ করতে না পারায় পানি কমার সাথে সাথে সদর উপজেলার সিলমায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে৷ অন্যদিকে, আভ্যন্তরীন নদ-নদী করতোয়া, ফুলজোড় ও গাড়াদহ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া ফসলী জমি নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে৷
গত তিন সপ্তাহে ধরে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জের ৫টি উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে৷ বন্যায় জেলার কয়েক লক্ষাধিক পরিবার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে৷ ২১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠন আংশিক ও ১১২টি সম্পন্ন ক্ষতিগ্রস্থ হয়৷ ৭ হাজার ৩৫৪ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে৷ অনেক বানভাসী মানুষ এখনো ত্রাণ সামগ্রী পায়নি৷ ইতোমধ্যে পানি কমতে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে৷ কাচা ঘরগুলো ভেঙ্গে গেছে৷ বানভাসী মানুষের কর্ম না থাকায় ঘর মেরামত নিয়ে দুশ্চিনায় পড়ে গেছেন৷ এ অবস্থায় বানভাসী মানুষগুলো সরকারের প্রতি প্রকৃত বানভাসীদের আর্থিক সহায়তার দাবী জানিয়েছেন৷ আবার এখনো যাদের বাড়ীতে পানি রয়েছে ওয়াপদাবাঁধে গরু-ছাগলের সাথে এক ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন৷ এদিকে,পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সদর উপজেলার সিমলা শাহজাদপুর উপজেলার কৌজুরী ও চৌহালী উপজেলার গোড়জান ও এনায়েতপুরে নদী ভাঙন শুরম্ন হয়েছে৷ ভাঙ্গছে এসব অঞ্চলের ফসলি জমি ও বসতভিটা বিলীন হচ্ছে৷
অন্যদিকে জেলার অভ্যান্তরে করতোয়া, ফুলজোর, হুরা সাগর ও চলন বিলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে৷
ছোনগাছা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল আলম জানান, বন্যায় প্রায় দুই হাজার বসতবাড়ী ক্ষতি হয়েছে৷ ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান অত্যন্ত জরুরী৷ সরকারী সহায়তা না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো ঘুরে দাড়াতে পারবে না৷