রবিবার ● ৭ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » মোবারকগঞ্জ সুগারমিলে হাইপেসার জয়েন্টসীট টেন্ডারে দুর্নীতি
মোবারকগঞ্জ সুগারমিলে হাইপেসার জয়েন্টসীট টেন্ডারে দুর্নীতি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ( ২৩ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৩৮মিঃ) দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভারী চিনি শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ চিনিকলে দুর্নীতি অনিয়ম থেমে নেই৷ একের পর এক দুর্নীতি অনিয়নের কারনে মিলটি বছরের পর বছর লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে৷ এবার মিলের হাইপেসার জয়েন্টসীন ক্রয় টেন্ডারে দুর্নীতি ও অনিয়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
সুগারমিলের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মাহমুদুল হাসান প্রভাবিত হয়ে টেন্ডারের সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজটি না দিয়ে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে তা দেবার পায়তারা করছেন৷ এ ঘটনায় মেসার্স কাব্য এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটার রহমত আলী মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এক লিখিত অভিযোগ করেছেন৷
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মোবারকগঞ্জ সুগারমিলে হাইপেসার জয়েন্ট সীট মালামাল ক্রয়ের জন্য সম্প্রতি টেন্ডার আহবান করা হয়৷ টেন্ডারে মেসার্স কাব্য এন্টার প্রাইজ, এফ রহমান এন্টার প্রাইজ, ঢাকা, ইমন এন্টার প্রাইজসহ ৪ জন টেন্ডার ড্রপ করেন৷ কাব্য এন্টার প্রাইজ টেন্ডারে মালের কেজি প্রতি দর দেয় ১০৫০ টাকা, এফ রহমান দেয় ১০৯৩ টাকা, ইমন এন্টার প্রাইজ দেয় ১১০০ টাকা৷ অপরটির বিষয়ে জানাযায়নি৷
উল্লেখিত, ৪ জনের মধ্যে কাব্য এন্টার প্রাইজ সর্বনিম্ন দর দিলেও তাকে কাজটি দেয়া হচ্ছে না বলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটার রহমত আলী অভিযোগ করেছেন৷ তিনি জানান, মালামালটির স্যাম্পল তিনি মোবারকগঞ্জ সুগারমিলের বয়লার মেকানিক রওশন আলীকে দেখিয়েছেন৷ তিনি মালটি কোয়ালিটি মনে করে সেটি নেবার জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের বলেছেন৷
কিন্তুু কাব্য এন্টার প্রাইজ কোয়ালিটিপূর্ণ মাল সরবরাহে সক্ষম এবং সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়া সত্বেও যান্ত্রিক বিভাগের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তাকে টেন্ডারের কাজটি দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন প্রোপাইটার রহমত আলী৷
এ ব্যাপারে সুগারমিলের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মাহমুদুল হাসান ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে কথা বলতে চায়নি৷ পরে অবশ্য বলেন, মোবাইলে কথা বলা যাবে না, আপনি সরাসরি এসে কথা বলুন৷ বিষয়টি জরুরী বলায়, তিনি সংক্ষিপ্ত ভাবে কথা বলতে বলেন৷ টেন্ডারের সর্বনিম্ন দরদাতাকে কেন কাজটি দেয়া হচ্ছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, এ বিষয়ে আপনি জিএম (প্রশাসন) এর সাথে কথা বলেন৷
টেন্ডারের ব্যাপারে জিএম (প্রশাসন) মানোয়ার হোসেন জানান, নমুনা অনুযায়ী কাজটি দেয়া হয়েছে৷ নমুনা যাদের ঠিক না তাদের রেট যদি কমও থাকে সেটা গন্য করা হয়নি৷ নমুনার সাথে যাদের মিল আছে, তাদেরকে গ্রহণ করা হয়েছে৷ টেন্ডার অনিয়নের কোন অভিযোগের কাগজপত্র তিনি পায়নি৷ এটা এটা সঠিক নয় বলে তিনি জানান৷