রবিবার ● ৭ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » অধ্যাপক এম এ মান্নানকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করায় গাজীপুরে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল
অধ্যাপক এম এ মান্নানকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করায় গাজীপুরে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২৩ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.২৮মিঃ) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নানকে শনিবার দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করায় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানিয়ে গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করেছে৷
৭ আগস্ট রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মিছিলটি শহরের শিববাড়ীর মোড় থাকে শুরু হয়ে জয়দেবপুর বাজার বাসস্ট্যান্ড হয়ে শহীদ নেয়ামত সড়কে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়৷ এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি নেতা এডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস৷
কাউন্সিলের চারমাস ১৬ দিন পর ৬ আগস্ট শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নাম ঘোষণা করেন৷ বিএনপির এই নির্বাহী কমিটিতে ৩৭ জন ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে এম এ মান্নানও রয়েছেন৷ গত ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়৷
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার রাতে অধ্যাপক এমএ মান্নানকে কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকা থেকে নাশকতার ঘটনায় জড়িত থাকায় গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ওই রাতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায়, কালিয়াকৈরের আনসার একাডেমির সামনে এবং টঙ্গীর টিএন্ডটি আলিফ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গাড়িতে অগি্নসংযোগসহ পৃথক নাশকতার ঘটনা ঘটে৷ এতিনটি ঘটনায় অধ্যাপক এমএ মান্নানকে প্রধান আসামী করে জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর ও টঙ্গী থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়৷
এর আগে গত ২০১৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে যাত্রীবাহীবাসে পেট্রোলবোমা হামলার মামলায় ওই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার বারিধারার ডিওএইচএস’র নিজ বাসা থেকে মান্নানকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
জয়দেবপুর থানার একটি ফৌজদারি মামলায় মান্নানের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র ২০১৫ সালের ১২ মে গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে গৃহীত হওয়ায় ওই বছরের ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে৷ অধ্যাপক এমএ মান্নান ২২টি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভের পর গত ২ মার্চ জামিনে কারামুক্ত হন৷
কারা মুক্তির পর গত ৩১ মার্চ মেয়র পদ থেকে তাকে সাময়িক বহিস্কারাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন এম এ মান্নান৷ মেয়র মান্নানকে দেওয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ওই সাময়িক বরখাস্তের আদেশ গত ১১ এপ্রিল ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট৷ পরে ১৩ এপ্রিল সুপ্রীম কোর্টের আপিল করলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রাখেন৷
এরপর গত ১৯ এপ্রিল ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১২ এর উপধারা (১) এর ক্ষমতা বলে স্থানীয় সরকার বিভাগ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে আবারও সাময়িক বরখাস্ত করে৷
প্রসঙ্গত, এমএ মান্নান গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের মামলায় গ্রেফতার হয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ডিভিশন সেলে বন্দী রয়েছেন৷
অধ্যাপক এমএ মান্নানের অবর্তমানে গত বছরের ৮ মার্চ থেকে প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ মেয়র মান্নানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মোট ২৫টি মামলা রয়েছে৷