শুক্রবার ● ১২ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে নিখোঁজ জামায়াত নেতার লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহে নিখোঁজ জামায়াত নেতার লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (২৮ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.০৫মিঃ) ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ মাদ্রাসা শিক্ষক ইদ্রিস আলী পান্নার লাশ মিলেছে জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামে৷ রঘুনাথপুর গ্রামের গোলাম কওছার আলী মন্ডলের ছেলে পান্না হরিণাকুন্ডুর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী ছিলেন৷
এদিকে একই দিন হরিণাকুন্ডুর ফলসি গ্রামে শহিদুল ইসলার পচা নামে এক সন্ত্রাসী র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন৷ নিহত শহিদুল হরিণাকুন্ডু উপজেলার পারদখলপুর গ্রামের মৃত তোরাপ আলীর ছেলে৷
১২ আগষ্ট শুক্রবার ভোরে এ দুই জনের লাশ উদ্ধার করে হরিণাকুন্ডু থানায় আনা হয়৷ হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মাহাতাব উদ্দীন জানান, শুক্রবার ভোরে হরিনাকুন্ডু পৌরসভা এলাকার জোড়া পুকুরিয়া মাঠে জামায়াত নেতা ইদ্রিস আলীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়৷ নিহত ইদ্রিস আলী পান্নার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ ৮/৯টি মামলা রয়েছে৷ তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি মুসলীম বিবাহ ও তালাক রেজিষ্টার ছিলেন৷
এছাড়া শৈলকুপা উপজেলার মহিষাগাড়ি জামে মসজিদের ঈমামতিও করতেন তিনি৷ গত ৪ আগষ্ট থেকে সে নিখোজ ছিলেন৷ ওসির দাবী পান্না হুজুর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন৷ এদিকে নিখোঁজ হওয়ার পর গত ৯ আগস্ট ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তার স্ত্রী মোছা বেগম ইদ্রিস৷
তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে তার স্বামীকে পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান৷
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়েছিলো, গত ৪ আগষ্ট রাত ৮টার দিকে শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর বাজার থেকে কাপড় স্ত্রী করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন৷ ইদ্রিস আলী রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পৌছালে ৩/৪ জনের সাদা পোশাকের পিসত্মল ও ওয়ারলেসধারী লোক তাকে তুলে নিয়ে যায়৷ স্বামীকে ক্রসফায়ারে হত্যার আশংকা করেন স্ত্রী৷
শুক্রবার লাশ উদ্ধারের পর ঝিনাইদহ হাসপাতাল মর্গে পান্নার ছেলে ফরহাদ, ভাই আব্দুল মান্নান, ভগ্নিপতি মহিউদ্দীনসহ তার স্বজনরা অভিযোগ করেন, পুলিশ বিশেষ কায়দায় হত্যা করে এখন সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজাচ্ছে৷ তাদের প্রশ্ন সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ একজন মানুষ কি ভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ?
এদিকে র্যাবের ঝিনাইদহ কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ জানান, শুক্রবার ভোরে দিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলার ফলসি এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুুতি নিচ্ছিলেন একদল ডাকাত৷
এ সময় র্যাবের টহল গাড়ি সেখানে পৌছালে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে৷ আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়৷ পাল্টাপাল্টি গুলিতে শহিদুল ইসলাম পচা নিহত হন৷ অন্য ডাকাতেরা পালিয়ে যান৷
শহিদুল ইসলাম পচার নামে হরিণাকুন্ড ও ঝিনাইদহ থানায় হত্যা, অপহরণ, বোমাবাজি ও চাঁদাবাজির কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান৷
এ সময় র্যাবের দুই সদস্য এএসআই খায়রুল হোসেন ও এপিসি মিজানুর রহমান আহত হন৷ ঘটনাস্থল থেকে র্যাব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে৷ রাতেই তার লাশ থেকে উদ্ধার করে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়৷ এদিকে পরিবারের ভাষ্য শহিদুল দীর্ঘ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন৷