শনিবার ● ১৭ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্যবর্গের গণসংবর্ধনা
রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্যবর্গের গণসংবর্ধনা
বরকল প্রতিনিধি :: পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন বিভাগকে ধংস করার লক্ষ্যে পর্যটকদের অপহরন করছে একটি বিশেষ মহল৷ এর ফলে এ অঞ্চলের পর্যটনশিল্পের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাজানোই তাদের উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার৷ তিনি বলেন, সম্প্রতি পার্বত্য বান্দরবান জেলায় পর্যটক অপহরনের ফলে তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক আগমন অনেকাংশে কমে গেছে৷ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করে পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের অভয় আশ্রম হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে এই মহলটি৷ তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন জাত নেই ধর্ম নেই৷ বর্ন ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে আমাদের সকলের এদের বিরম্নদ্ধে রম্নখে দাঁড়াতে হবে৷
শনিবার রাঙামাটির বরকল উপজেলাবাসীর আয়োজনে শুবলং বাজারে আয়োজিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্যবর্গদের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন৷
গণসংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও ১নং সুবলং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুশানত্মময় চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পরিষদের সদস্য সাধন মনি চাকমা, সবির কুমার চাকমা, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সনত্মোষ চাকমা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, বরকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেনং রাখাইন, বরকল যুবলীগ নেতা অর্জুন চন্দ্র অধিকারী, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রম্নবেল, রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিৰক সমিতির সভাপতি অমল চাকমা বক্তব্য দেন৷ স্বাগত বক্তব্য দেন গণসংবর্ধনা কমিটির সদস্য সচিব ও সুবলং বাজার কমিটির সভাপতি সুজন কুমার শীল৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতারুজ্জামান৷
অনুষ্ঠানে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ন্যয় তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পার্বত্য বাসির প্রতি আন্তরিক৷ তিনি সামপ্রদায়িক সমপ্রীতিতে বিশ্বাসী৷ পার্বত্য চট্টগ্রামে যখন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর অস্ত্রের ঝনঝনানি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি অপহরন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন তিনি পার্বত্য অঞ্চলের সকল জাতির কল্যাণে ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি করেছেন এবং তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নও করছেন৷ তিনি এ জেলার প্রতিটি ধর্মের মানুষের কল্যানে মসজিদ. মন্দির, বৌদ্ধ বিহার, গীজর্া নির্মান করে দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি যোগাযোগসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করেই যাচ্ছে৷ এর দৃষ্টান্ত হচ্ছে এই উপজেলার ধনমিয়া ফকিরের মাজারে যাতায়াতের জন্য একটি ব্রীজ, মিতিঙ্গাছড়িতে ২৫লক্ষ টাকা ব্যয়ে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ, হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির এবং মসজিদ সংস্কার করে দিয়েছে৷ যা অন্য কোন সরকার করে দেইনি৷ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় দেশের মানুষের কল্যান চাই বলে আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকি এবং তা পূরণ করতে পারি৷
পরে বরকল উপজেলাবাসীর পক্ষে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও জেলা পরিষদের পরিবারের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন সংবর্ধনা কমিটি৷ আপলোড :১৭ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ৮.৫৫ মিঃ