রবিবার ● ১৪ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন বাতিলের দাবীতে : বাঙ্গালী সংগঠন গুলির যৌথ কর্মসূচি ঘোষনা
পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন বাতিলের দাবীতে : বাঙ্গালী সংগঠন গুলির যৌথ কর্মসূচি ঘোষনা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৩০ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২৫মিঃ) মন্ত্রীসভায় পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন-২০১৬ পাস হওয়ার ১৪ আগষ্ট রবিবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের ৫টি বাঙালী সংগঠন। ১৪ আগষ্ট রবিবার রাজধানীতে ৫ বাঙালী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এক যৌথ সভা শেষে এই কর্মসূচী ঘোষণা করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান । তিনি গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানান, ১৪ আগস্ট, রবিবার বিকেল ৩টায় পার্বত্য বাঙ্গালীর শীর্ষ ৫ সংগঠনের উদ্যোগে পার্বত্য গণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে পার্বত্য চট্রগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ সরকার কর্তৃক সংশোধনী আইন ২০১৬ গেজেট আকারে প্রকাশের এর প্রতিবাদে এবং তা দ্রুত বাতিলের দাবিতে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া, চেয়ারম্যান, পার্বত্য গন পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদের পক্ষে অ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার ,মহাসচিব ,পার্বত্য গন পরিষদ ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ, অ্যাডভোকেট আলম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক পার্বত্য গন পরিষদ, পার্বত্য চট্রগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের পক্ষে মো. মনিরুজ্জামান মনির, মহাসচিব পার্বত্য চট্রগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন, শেখ আহম্মেদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, সাহাদাত ফরাজি সাকিব পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর সভাপতি, মো. সাইফুল ইসলাম খান , আহ্ববায়ক পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ, ঢাকা মহানগর, মো, নাজমুল হোসেন কেন্দ্রীয় সহ- প্রচার সম্পাদক ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ প্রমুখ ।
সভায় বক্তারা বলেন,পাহাড়ের সব জমির মালিক উপজাতিরা নয়, বাঙালি জনগণও পার্বত্যাঞ্চলের ভূমির মালিক। এই সমস্যা দূর করতে সরকার ভূমি কমিশন আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও কমিশনে ১ জন বাঙালি ও রাখেনি, এর পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। ভূমি কমিশন আইন সংস্করণের ফলে ১৯৭০-১৯৮১ সালে যেসব বাঙালি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে পাহাড়ি অঞ্চলে গিয়েছিল তাদেরকে সেখান থেকে চলে আসতে হবে। উপজাতিরা প্রকাশ্যে এটি বলতে পারছেন না, এই জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে যাতে বাঙালিরা বাধ্য বিতাড়িত হয়ে পার্বত্য চট্রগ্রাম থেকে চলে আসে।
পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন ২০১৬ বাতিলের দাবীতে : বাঙ্গালী সংগঠন গুলির যৌথ কর্মসূচি ঘোষনা মধ্য রয়েছে :
১৭ আগষ্ট ২০১৬ তারিখ পার্বত্য তিন জেলায় গণ সংযোগ ও লিফলেট বিতরণ,১৮ আগষ্ট পার্বত্য তিন জেলায় এবং সকল উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল, ১৯, ২০, ২১ ও ২২ আগষ্ট পার্বত্য তিন জেলায় বিভিন্ন পেশাজীবিদের সাথে মত বিনিময়, ২৪ আগষ্ট তিন পার্বত্য জেলা এবং উপজেলায় মশাল ও মোমবাতি প্রজ্বল মিছিল,২৮ আগষ্ট তারিখ পার্বত্য তিন জেলায়, জেলা প্রশাসেকের মাধ্যামে রাষ্ট্রপতি , প্রধানমন্ত্রী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও গণপ্রতীক অনশন কর্মসূচি ও ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে কেন্দ্রীয় ভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী নতুন কর্মসূচী ঘোষণা দেওয়া হবে বলে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানানো হয়েছে সংগঠন ৫টি পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, সোমবার ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস এবং জাতিজনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মানা দেখিয়ে তাদের সংগঠন গুলির পক্ষ থেকে আন্দোলনের কোন কর্ম সূচি রাখা হয়নি।