সোমবার ● ১৫ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জাতীয় শোক দিবস পালিত
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জাতীয় শোক দিবস পালিত
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৩১ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২৪মিঃ) সোমবার ১৫ আগষ্ট সকালে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রধান কার্যালয়ের মাইনী মিলনায়তন কক্ষে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়৷ আলোচনা সভা পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রধান কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল এর পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়৷
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য অল্প সময়ে মধ্যে একটা ভিত দিয়ে গেছেন, সেটা হল সংবিধান৷ দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ চালিয়েছেন, এরই মধ্যে তিনি অনেক কিছু করে গেছেন বলেন জানান,অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও চেয়ারম্যান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি৷ বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরে তিন বার পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সফরের এসেছিলেন৷ তিনি আরো জানান যে, বঙ্গবন্ধু পার্বত্যাঞ্চলের জন্য একটি পৃথক উন্নয়ন বোর্ড, সার্কেল চীফ এবং হেডম্যানদের জন্য সম্মানী হার নির্ধারণ, সুবিধা বঞ্চিত ছাত্রছাত্রীদের জন্য চাকরীতে কোটা ব্যবস্থা, শিক্ষাবৃত্তি, বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য পার্বত্য জনপদের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার প্রদান ইত্যাদি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন৷ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আরো অনেক কিছু করে ফেলতেন, আজকের তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত কাজসমূহ সমাপ্ত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, ইতোমধ্যে চার লেন এর সড়ক উদ্বোধন, পদ্মা সেতু নির্মাণ, ৯৫% বিদ্যুত্ সুবিধা সরবরাহ ইত্যাদি কাজের বর্তমান সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাছে বলে তিনি জানান৷ প্রধান অতিথি মহোদয় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে আইন শৃংখলা বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য অনুষ্ঠানের উপস্থিত সকলকে অনুরোধ জানান৷
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার জানান যে, বঙ্গবন্ধু তিনি নিজেই ঐক্য স্থাপন করে দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছিলেন, এটাই ছিল জাতির পিতার সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন৷ তিনি আরো জানান যে, মানব সমাজকে ভালোবাসার জন্য যে চেতনা দরকার সেটা জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু মধ্যে নিহীত ছিল৷ বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের অর্থনীতিক মুক্তির জন্য, অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের জন্য কাজ করে গেছেন৷ বঙ্গবন্ধু আর্দশ, ব্যক্তিত্ব, সততা ইত্যাদিকে আমরা চিরতরে স্মরণ করব বলে তিনি জানান৷
অনুষ্ঠানে সভাপতি বোর্ডের সম্মানিত ভাইস-চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, পৃথিবী যতদিন থাকবে বঙ্গবন্ধু ততদিন থাকবে৷ বঙ্গবন্ধু কারণেই আজকের আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি৷ বঙ্গবন্ধু দেশের দারিদ্র্য দূর করা জন্য, দেশের মানুষের হাসির ফুটানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন৷ সোনার বাংলার গড়ার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখিছিলেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রত্যেকে যার যার অবস্থানে থেকে কর্তব্য ঠিকমত পালনের জন্য তিনি উপস্থিত সকলকে আহবান জানান৷
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য-অর্থ শাহীনুল ইসলাম জানান যে, বঙ্গবন্ধু জীবনাচার, কর্ম, ব্যপ্তী বলে শেষ করা যাবে না৷ তিনি আরো জানান যে, যার যার অবস্থানে থেকে বঙ্গবন্ধ স্বপ্ন বাসত্মবায়নের জন্য অগ্রগামী হলে বঙ্গবন্ধু আত্মত্যাগ, পরিবারের আত্মত্যাগ সফল হবে৷
শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন বোর্ডের সম্মানিত সদস্য-পরিকল্পনা মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী৷ বোর্ডের সদস্য-প্রশাসন আশীষ কুমার বড়ুয়া ১৫ আগষ্ট শোককে শক্তিতে পরিণত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান৷
এছাড়াও সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, বোর্ডের সিনিয়র পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অবসরপ্রাপ্ত), কমলা ও মিশ্র ফসল চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক প্রত্যেকে বক্তব্য রাখেন৷ বক্তব্য শেষে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়৷ দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড জামে মসজিদের ইমাম মো. জয়নাল আবেদিন৷
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও বোর্ডের অধীনে পরিচালিত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷