বৃহস্পতিবার ● ১৮ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » তথ্য প্রযুক্তি আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা : সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি-না তা জানতে চেয়ে নোটিশ
তথ্য প্রযুক্তি আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা : সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি-না তা জানতে চেয়ে নোটিশ
অনলাইন ডেস্ক :: সংবাদ প্রকাশের দায়ে তথ্য প্রযুক্তি আইন ব্যবহার করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও তাদেরকে কারাগারে পাঠানো সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি-না তা জানতে চেয়ে একটি উকিল নোটিশ দেয়া হয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের দায়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭(১), ৫৭(২) ধারা প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জেলে পাঠানো বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৯(২) (খ) এর পরিপন্থী কি-না এবং সংবিধানের ৩৯(১) (খ)এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি-না সেটি জানতে চেয়ে এ নোটিশ দেয়া হয়।
আইন, স্বরাষ্ট্র, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহা-পরিদর্শক(আইজিপি) কাছে এর জবাব চাওয়া হয়েছে।
গতকাল ১৭ আগষ্ট বুধবার এ উকিল নোটিশটি পাঠান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু।
নোটিশে আইনজীবী উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি যে, তথ্য প্রযুক্তি আইনের এ ধারাগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে মামলা করে স্বনামধন্য সংবাদপত্রের সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক ও রিপোর্টারকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে চিন্তা, বাকস্বাধীনতা ও বিবেকের স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। এতে আরো উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা,
শালীণতা বা নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিযংগত বাধানিষেধ- সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের বাক স্বাধীনতার অধিকার ও সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হলো।
নোটিশে আরো বলা হয়, সংবিধানের ৩৯(খ) পর্যালোচনায় প্রত্যেক সংবাদপত্র তথা নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের স্বাধীনতা সাংবাদিকদের রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদপত্রের সম্পাদক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে এবং তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
নোটিশে আরো বলা হয়, কোনো সংবাদপত্রে সাংবাদিক আপত্তিকর সংবাদ প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইন ও দণ্ডবিধি মোতাবেক মামলা করা যেতে পারে। সে আইনের অধিনে সাজা দেয়া যেতে পারে। কিন্তু তা না করে তথ্য প্রযুক্তি আইন ব্যবহার করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে যা সংবিধানের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব না পেলে জনস্বার্থে উচ্চ আদালতে এই আইনজীবী একটি রিট আবেদন করবেন বলে নোটিশে উল্লেখ করেছেন।