বৃহস্পতিবার ● ১৮ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » মানুষের চেয়ে হাতি’র মূল্য কি বেশী ?
মানুষের চেয়ে হাতি’র মূল্য কি বেশী ?
লংগদু প্রতিনিধি :: (৩ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৩৪মিঃ) রাঙামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলায় তিনটি ইউনিয়ন ভাসান্যাদম,বগাচত্তর ও গুলশাখালী জুড়ে চলছে হাতি’র তন্ডব। হাতির বিচরণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এসব এলাকার সাধারন মানুষ। নির্বিঘে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সব সময় ভয়ে এলাকার মানুষরা স্বাধীন ভাবে চলাচল করতে পারছে না। তিন ইউনিয়নের নারী- পুরুষরা সন্ধ্যা হলেই হাতি’র ভয়ে অনেকেই বাজারে আসা বন্ধ করে দিয়েছে । এসব এলাকাতে সর্বত্রই হাতি হচ্ছে গ্রামের মানুষের কাছে আতংক। বন্য হাতির দল দখল করে নিয়েছে পাহাড়ি চলাচলের রাস্তা ও আবাদি জমির ফসল। সন্ধ্যা হলেই বন্য হাতি গুলো দলবদ্ধ হয়ে মানুষের বাড়িতে আক্রমন করে। নষ্ট করে ফেলে মানুষের কষ্টের ফলানো ফসল। বন্য হাতির অবাধ বিচরণের কারণে এখানকার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম মোটর সাইকেলেও চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। লংগদু উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে হাতির আঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা। চলতি বছরে লংগদু উপজেলায় প্রায় শতাধিক মানুষের ঘর বাড়ি ভেঙ্গে রক্ষিত ধান খেয়ে ফেলছে। অন্যদিকে হাতির আঘাতে মানুষের মৃত্যু যেন খেলনায় পরিনত হয়েছে।হাতি আসলো মানুষ মেরে চলে গেলো এটাই নিত্যদিনের সংবাদ। মানুষ মারা যাক কিন্তু হাতি মারা যাবে না। কারণ হাতি মারার ব্যাপারে পরিবেশবাদি সংগঠন বা সংস্থা গুলোর বিধি নিষেধ দিয়েছে প্রাণী হত্যা করা যাবে না। হাতি একটি প্রাণী একে মারলে পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। মানুষ মারা যাক,মানুষ চলাচলে অতিষ্ট হয় হোক, হাতির আক্রমনে মানুষ ঘুমাতে না পারলেও হাতি নিধন করা যাবেনা এটাই এখন নীতিমালা। হাতির অত্যাচার দিন দিন বৃদ্ধি রোধ করার কোন দরকার নাই বলে স্থানীয় বন বিভাগ ও প্রশাসন মনে করে বলে এলাকাবাসীর দাবি । লংগদু উপজেলায় স্থানীয় বন বিভাগ পরিবেশবাদিদের ইচ্ছায় সব হচ্ছে । এলাকার সাধারন মানুষরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছে এ পাহাড়ি জনপদে মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই। হাতির চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক কম ?