রবিবার ● ১৮ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » বাম মোর্চার রোডমার্চে লাঠিচার্জ করে পুলিশ
বাম মোর্চার রোডমার্চে লাঠিচার্জ করে পুলিশ
যশোর প্রতিনিধি :: রামপালের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে শুরু হওয়া সুন্দরবন অভিমুখী গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার রোডমার্চ যশোরেও পুলিশি বাধার মুখে পড়েছে।
শনিবার দুপুরের পর রোডমার্চটি যশোর শহরের প্রবেশদ্বার ভাস্কর্যের মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেড দেয়।
রোডমার্চ শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা মিছিলের চেষ্টা চালালে পুলিশ ধাওয়া করে। এ সময় লাঠিচার্জও করা হয়। পরে রোডমার্চটি খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মাগুরা শহরে বাম মোর্চার রোডমার্চে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। শুক্রবারও রোডমার্চ মানিকগঞ্জে পৌঁছলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করেন, পথে পথে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে এই হামলায় অংশ নিচ্ছে সরকারি দলের ক্যাডাররাও।
তিনি আরও জানান, তাদের দুপুরের খাবার খাওয়ার কথা ছিল ঝিনাইদহে। কিন্তু পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের বাধায় সেখানে যেতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় পুলিশের অনুমতি নিয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়কের ক্ষণিকা পিকনিক স্পটে খাওয়ার আয়োজন করা হয়। কিন্তু যশোর পুলিশ সেখানেও বাধা দেয়। ফলে না খেয়েই চলে যেতে হয় তাদেরকে।
বাম মোর্চার মুখপাত্র সাইফুল হক বলেন, রোডমার্চ যশোর শহরের ওপর দিয়ে খুলনার দিকে যাওয়া ও সমাবেশের কথা থাকলেও পুলিশ তা করতে দেয়নি। জোর করে বাইপাস সড়ক ধরিয়ে দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশে আইনের শাসনের নামে একদলীয় স্বৈরশাসন চলছে।
বাম মোর্চার অন্যতম নেতা জুনায়েদ সাকি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছে।
তিনি বলেন, ঝিনাইদহ থেকে তারা মূলত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। পুলিশ তাদের অজানা গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা দাবি করেন, পুলিশ রোডমার্চে কোন বাধা দেয়নি। বরং রোডমার্চে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, শহরের মধ্যে ঢুকলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হতে পারে। তাই বাইপাস সড়ক ধরে রোডমার্চটি খুলনার দিকে পাঠানো হয়েছে।
আপলোড : ১৮ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : বেলা ১২ ৫৮ মিঃ