বৃহস্পতিবার ● ১৮ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » শৈলকূপায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
শৈলকূপায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৩ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১২মিঃ) ঝিনাইদহের শৈলকূপায় সন্ত্রাসের জনপথ বলে খ্যাত হয়ে উঠেছে আবাইপুর ইউনিয়ন৷ এই ইউনিয়নে সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, বাড়ি ভাংচুর, লুটপাঠ, দিনে দুপুরে মানুষ কুপিয়ে জখম এখন নিত্যদিনের খেলায় পরিণত হয়েছে৷
এখানে কোন একটি বিশেষ ব্যাক্তির লোকজন বলে পরিচিত তারা কোন অপরাধ করলে তার জন্য থানায় কোন মামলা হয় না ৷
বরং হামলা স্বীকার ব্যাক্তিকেই ঐ ব্যাক্তির নিকট যেয়ে দ্বিতীয় বার ক্ষমা চেয়ে আসতে হয়৷ আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও প্রতিনিয়ন এক বিশেষ ব্যাক্তির অর্থনৈতিক প্রভাবের কারনে বিএনপি জামাতের ক্যাডাররা একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের উপর৷ তারপরে কোন প্রতিক্রিয়া নেই প্রশাসন ও দলীয় নেতা কর্মীদের৷
আবাইপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তার আহাম্মেদ এর নিকট থেকে জানা গেছে, ১৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার আবাইপুরে আওয়ামীলীগের নেতা নাজিম উদ্দিনের পর ১১ নং আবাইপুর ইউনিয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শৈলকূপা উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি গাঙ্গুটিয়া গ্রামের বক্কার বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল ইসলাম কে সকাল ৮ ঘটিকার সময় আবাইপুর বাজারের বাসষ্ট্যান্ডে প্রকাশ্য দিবালোকে বিএনপির ক্যাডার রাজ্জাক, ফরিদ, মিরাজ, আসলাম, হাদান, রাজন, চা মিরাজ, সহ প্রায় ২০ জন মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে জঘন্যভাবে কুপিয়ে শহিদুল কে গুরুতর আহত করে৷
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রেরন করে৷ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে প্রাথমিক চিকিত্সা শেষে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়, বর্তমান সহিদুলের অবস্থা আশংকা জনক৷
রোগীর পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, সহিদুল ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে সকাল বেলা বাহির হয়৷ আবাইপুর বাজারে পৌঁছালে আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে প্রায় ২০ জনের একটি গ্রুফ আলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে৷
উলেস্নখ্য, এই গ্রুপটি ২০০১ সালে জামাত বি এন পি ক্ষমতায় আসার পর আবাইপুর ইউনিয়নে অত্যাচারের তান্ডব নিত্য করেছিলেন৷ আজ তারাই আবার একের পর এক আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে৷
এই প্রসঙ্গে শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম সাংবাদিককে জানান, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সহিদুলের উপর হামলা হয়েছে৷ নির্বাচনের আগে সহিদুল আসলামের মা এবং ভাগি্নর উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছিলেন৷ ইতিমধ্যে একজন কে থানায় জিজ্ঞাসা বাদের জন্য গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়েছে৷ এখনও থানায় কোন মামলা হয় নাই৷