শুক্রবার ● ১৯ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন যুবলীগ নেতা রিপন
গাজীপুরে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন যুবলীগ নেতা রিপন
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৪ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৫৩মিঃ) গাজীপুরের শ্রীপুরে যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ পরকীয়ায় আসক্ত ওই নেতার নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ৷ চৌদ্দ মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে নির্যাতনের বিচার চেয়ে তিন সন্তানের ওই জননী আফরোজা আক্তার আলেয়া এখন ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে৷ উপজেলার তেলিহাটী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রিপনের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্য স্ত্রী আফরোজা আক্তার আলেয়া আদালতে মামলাও করেছেন৷ মামলা করেও তিনি পড়েছেন বিপাকে৷ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আলেয়ার পরিবারকে রিপন প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আলেয়া লিখিত অভিযোগ করেছেন৷ উপজেলার টেপিরবাড়ি গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে তেলিহাটী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রিপনের সঙ্গে পনেরো বছর আগে বিয়ে হয় পার্শবর্তী উজিলাব গ্রামের আশরাফুল আলমের মেয়ে আফরোজা আক্তার আলেয়ার৷ তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে৷ বছর খানেক আগে রিপন এক নারীর পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে আলেয়ার ওপর নির্যাতন শুরু করেন৷ আফরোজা আক্তার আলেয়া জানান, গ্রামে মঞ্চনাটকে অভিনয় করতে গিয়ে রিপন এক অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েন৷ এর প্রতিবাদ করায় তার ওপর নেমে আসে নির্যাতন৷ বালিশ চাপা দিয়ে বেশ কয়েকবার শ্বাসরোধে তাকে হত্যার চেষ্টাও করেন রিপন৷ আলেয়া বলেন, ‘অবশেষে আমার কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন রিপন৷ যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় দুই সন্তানকে রেখে চৌদ্দ মাসের শিশুকে সঙ্গে দিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন রিপন৷ গত ২৬ জুলাই আমি গাজীপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিপনের বিরুদ্ধে মামলা করি৷ আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও শ্রীপুর থানা পুলিশ রিপনকে গ্রেফতার করছে না বলে গত ১৪ আগস্ট জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি৷
থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আসামি রিপনকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে৷ তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তত্পর রয়েছে৷ অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান রিপন বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে৷