শুক্রবার ● ১৯ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » আলীকদমে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৬:বসতবাড়ি ভাংচুর
আলীকদমে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৬:বসতবাড়ি ভাংচুর
আলীকদম প্রতিনিধি :: (৪ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.০২মিঃ)
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের শিবাতলী পাড়ায় ১৭ আগষ্ট বুধবার গভীর রাতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে একটি বসতবাড়ি ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষরা৷ এ সময় বসত বাড়ির বাসিন্দা মার্মা ও বাঙ্গালী ২টি পরিবারের ৬ সদস্যকে মারধর করা হয়৷ এ ঘটনায় আহতরা হলেন- ঞোঅং মার্মা (৬০), মিসেস চাইনুমে মার্মা (২৫), আপ্রুচিং মার্মা (৩০), মো. হোসেন (৪৫), মিসেস কুসুম বেগম (৪০) ও মংচেনু মার্মা (৩৫)৷ আহতদের মধ্যে ৩ জনকে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে৷
জমিজমার বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা৷ তিনি বলেন, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে৷ তবে এ পর্যন্ত থানায় অভিযোগ পাওয়া যায়নি৷ অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওযা হবে৷
সরজমিনে জানা যায়, চৈক্ষং ইউনিয়নের শিবাতলী পাড়ায় জায়গা জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল সোহরাব হোসেন গং এবং ঞোঅং মার্মাদের মধ্যে৷ এ নিয়ে উভয় পরে মঝে মামলা-মোকাদ্দমা চলছে৷ উক্ত জায়গায় দীর্ঘদিন যাবত্ বসতঘর করে নিয় অং মার্মা ও মো. হোসেনের পরিবার বসবাস করে আসছে৷ উক্ত জায়গাটি ১৯৮০-৮১ সালে নিয়অং মার্মার শুশুর মৃত উথোয়াইচিং মার্মা বন্ধোবোস্ত লাভ করে৷ ২২৭নং তৈন মৌজার ৩১৯ ও ৩৩৮ নং হোল্ডিং ২টি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক ঞোঅং মার্মার স্ত্রী উসাইন্দা মার্মা ৷
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন জানান, সোহরাব হোসেন ও তার ভাইয়েরা ঞোঅং মার্মা ও মো. হোসেন পরিবারের বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন৷ স্থানীয় বাসিন্দা আহতদের আত্মীয় মো. হারুন ও মংচিং মার্মা জানান, স্থানীয় সোহরাব হোসেন, আমির হোসেন এই তিন ভাইদের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল বুধবার রাত দুইটার সময় বাড়ি ঘর ভাংচুর ও ঘরের বাসিন্দাদের মারধর করেছে৷
অন্যদিকে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত আমির হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই সোহরাব হোসেন বাদি হয়ে ঞোমং মার্মা ও মো. হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে৷ জায়গার মালিকরা আমরা৷ কিন্তু দখলে আছে অন্যরা৷ তিনি বলেন, বুধবার রাতে ঘরটিতে হামলা হয়েছে বলে শুনেছি, তবে আমরা হামলা করিনি৷
আলীকদম থানার সেকেন্ড অফিসার খাইরুল ওয়ারা রবিন জানান, ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে ঘটনার কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে৷ এ জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে৷ এ নিয়ে স্থানীয় মীমাংসার জন্য শুক্রবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা ছিল৷