রবিবার ● ২৮ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বগুড়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ
বগুড়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ
আল আমিন মন্ডল, বগুড়া প্রতিনিধি :: (১৩ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.০৮মিঃ) বগুড়া জেলায় এবছরে সোনালী আশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে৷ তবে ১২উপজেলা গুলোতে পাটচাষীরা এখনো সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিচ্ছেন৷ পুকুর, নদ-নদী, খাল-বিল, ডোবা-নালা, জলাশয়ে কাদা মাটি ও দুর্ষিত দুগন্ধো পানিতে পাট জাগ দেওয়ায় কমছে পাটের গুনগতমান ও পরিবেশ হচ্ছে দুর্ষিত৷
সুত্র জানায়, এবছরে বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় চলতি মৌসুমে পাট চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১হাজার হেক্টর জমিতে৷ যার উত্পাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয় ১৬হাজার ৬শত ৭০বেল৷ এবছরে ১১ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ১শত ৭০হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে নেপালতলীতে৷ আর সবচেয়ে কম পাট চাষ করা হয়েছে ১০হেক্টর জমিতে দৰিনপাড়া’য়৷ তবে পাট চাষে অনূকুল আবহাওয়া ও কৃষকরা সময়মত পাট বীজ পাওয়ায় এবছরে পাট চাষের লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে৷ কৃষি কর্মকর্তাগন পাটের গুনগতমান বৃদ্ধিতে পাট জাগ বিষয়ে কৃষকদের তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করলেও পাটচাষীরা তা মানছেন না৷ ফলে তারা সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিচ্ছেন৷ ফলে পাটের রং কালো ও গুনগত মান হ্রাস পাচ্ছে৷ পাটের পচা পানির দুগন্ধে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে৷ এবিষয়ে গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার জানান, রিবনার পদ্ধতিতে পাট জাগ বা পাট পচানো বিষয়ে কৃষকদের তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে৷ উপজেলা কৃষি সমপ্রসারন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সোহরাব হোসেন জানান, চাষীরা আমাদের পরামর্শ না মানায় পাটের রং বিবর্ণ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা কাঙ্খিত মূল্যে পাচ্ছে না৷ বরং তারা নানা অজুহাতে সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিচ্ছেন৷ গাবতলী উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ চৌধুরী জানান, সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ না দেওয়ার জন্য কৃষকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷ গাবতলী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. জাহেদুর রহমান জাহিদ জানান, রিবনার পদ্ধতিতে পাটের আশভাল থাকে ফলে পাটের গুনগতমান বৃদ্ধি পায়৷ যেখানে পানির যথাযথ ব্যবস্থা নেই সেখানে কৃষক রিবনার পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন৷ রামেশ্বরপুর আকন্দপাড়া পাটচাষী রবিউল ইসলাম জানান, কৃষি কর্মকর্তাগন রিবনার পদ্ধতি ও পলিথিন, বালি, বসত্মা ভর্তি ইট দিয়ে পাট জাগ দেওয়ার পরামর্শ দিলেও জায়গা, পানি, সময় স্বল্পতা ও ব্যয়বহুল হওয়ায় পাট চাষী কেউ পরামর্শ মানছে না৷ আহম্মেদপুর গ্রামের পাটচাষী আজাহার আলী, দড়িপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন, উজগ্রাম এলাকার কৃষক বুলু মিয়া জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের কথা মতে পাট জাগ দিতে বহু অর্থের প্রয়োজন৷ তাই সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিয়েছি৷ তবে পাটের গুনগতমান একটু কম হলেও পাটকাটি (জ্বালানি) বিক্রি করে লাভ হবে৷ কৈঢোপ গ্রামের পাটচাষী মোয়াজ্জেম, সাহাদত, মান্নান, দাসকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান ভিন্ন কথা তারা বলেন, আমরা এবিষয়ে প্রথম শুনলাম৷ কৃষকদের মাঝে রিবনার পদ্ধতিতে পাট জাগ বিষয়ে আরো বেশী সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে৷