সোমবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকী
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকী
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: পার্বত্য গণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর বিষয়ক সচিব আ্যডভোকেট আবু হেনা মোসতাফা কামাল ৪ সেপ্টেম্বর প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালি জনগণকে উচ্ছেদের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ (২০০১ সনের ৫৩নং আইন) ও সংশোধনী-২০১৬ পাস হয়েছে৷ এই গণবিরোধী আইন বাতিলের জন্য পার্বত্য গণ পরিষদ, পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র ঐক্য পরিষদসহ, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমধিকার আন্দোলন, পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদ এই ৫ বাঙালি সংগঠনের ডাকে আজকের হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হওয়ায় পা্র্বত্য চট্রগ্রামের ৫ বাঙালি সংগঠনের সকল নেতাকর্মীসহ পার্বত্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পার্বত্য গণ পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার ও মহাসচিব এ্যাডভোকেট আলম খান ৷ বিএন এফ চেয়ারম্যান বীর মু্িক্তযোদ্ধা এস এম আবুল কালাম এম পি, ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ খান ভাসানী , ইসলামী ফ্রন্ট, ভূমি রক্ষা কামিটি, পার্বত্য শ্রমিক পরিষদ, জাগো পার্বত্যবাসীসহ যারা হরতালে সমর্থন দিয়েছেন সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দদ্বয় ৷ পার্বত্য গণ পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার বলেন “আমরা রাঙামাটি জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার উল হক সর্বশেষ সরকারের উপদেষ্ঠা গওহর রিজভীর সাথে বৈঠক করে পার্বত্যবাসীর জন্য আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাইনি ৷ এমতাবসহায় আন্দোলন ছাড়া পার্বত্যবাসীর জন্য আর কোন পথ খোলা নাই ৷ তাই পার্বত্য গণ পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার পার্বত্যবাসীকে কঠোর আন্দেলনের প্রন্তুতি গ্রহনের আহবান জানিয়ে আরো বলেন,” এই আইনের মাধ্যমে ,পার্বত্য বাঙ্গালিদের বন্দোবস্তীকৃত ভূমির বন্দোবস্তী বাতিল বা দখলকৃত ভূমি হতে বাঙ্গালিদের উচ্ছেদ করতে পারবে কমিশন৷ (ধারা-৬) এই কমিশন একটি আদালত, কমিশনের আদেশ আদালতের মত কার্যকরী৷ কমিশনের আদেশই চূড়ান্ত এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট বা অন্য কোন কোর্টে কোন আপীল বা রিভিশন করা যাবেনা৷ (ধারা- ১৬)৷ এই আদালতের বিচারক বা প্রতিনিধির মধ্যে পার্বত্য বাঙ্গালির কোন প্রতিনিধি নাই৷ ৫ (পাঁচ) জন সদস্যের মধ্যে ৩ জন সদস্যই নৃগোষ্ঠীর সদস্য৷ তাদের ৩ (তিন) জন সদস্যের সিদ্ধান্তই কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (ধারা- ৭)৷ কমিশন নিজেদের খেয়াল খুশী মত বিচার করতে পারবে৷ (ধারা-১১)৷ কমিশন নিজেদের খেয়াল খুশী মত বিচার করলেও তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করা যাবে না৷ (ধারা- ২০)৷ কমিশনের আদেশ না মানলে জরিমানা সহ ১ মাসের জেল৷ (ধারা-১৯)৷ কমিশনের সচিব সহ সিংহভাগ কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়োগ দিতে হবে নৃগোষ্ঠীর সদস্য হতে৷ (ধারা- ১৩)৷ সরকারী সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নামে রেকর্ডকৃত ভূমি, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্প কারখানার ভূমি বন্দোবস্তী বাতিল করতে পারবে কমিশন (ধারা-৬ (গ)৷ তাই এই আইন পাশ হয়েছে বাঙ্গালি উচ্ছদের জন্য৷ আরাকানে হাজার বছর ধরে রাজত্ব করেছে মুসলিম শাসকরা৷ সেই আরাকানের মুসলিম রোহিঙ্গাদের আজ নাগরিকত্ব নেই৷ তারা আজ আরাকান হতে বিতাড়িত৷ এই আইন পার্বত্য বাঙ্গালি জনগণকে বিশেষতঃ ১৯৭৭ সালের পর যারা পার্বত্য চট্টগ্রামে এসেছেন তাদের ভূমির অধিকার কেড়ে নিতে পাস করা হয়েছে৷ ৮ লক্ষ বাঙ্গালিকে রোহিঙ্গাদের পরিণতি ভোগ করতে এই আইন পাশ হয়েছে ৷ পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ব তিমুরের মত স্বাধীন জুম্মল্যান্ডে পরিণত করতে এই আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছে৷ ” তিনি আরো বলেন, “সচেতন হবার এখনি সময় ! পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে দেশ প্রেমিক সকল জনতাকে ৷ রুখে দিতে হবে এই কালো আইন৷ মুক্তিযুদ্ধ করে ৭১’এ স্বাধীন করা দেশের এক দশমাংশ পূর্ব তিমূর হওয়ার আগেই সকলকে এগিয়ে আসতে হবে৷”