বুধবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » টাম্পাকো কারখানার ধ্বংসস্তুপ সরাতে ব্যস্ত উদ্ধারকর্মীরা
টাম্পাকো কারখানার ধ্বংসস্তুপ সরাতে ব্যস্ত উদ্ধারকর্মীরা
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: টাম্পাকো কারখানার ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজেই ব্যস্ত সময় পার করছেন উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা৷ গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকার টাম্পাকো ফয়ল্স লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের চতুর্থ দিন ছিল ঈদুল আজহার দিন ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার৷ ঈদের দিন হলেও সেখানে সকাল থেকেই চলছে ধ্বংসস্তুপ অপসারণ ও নিখোঁজ ১০ শ্রমিককে উদ্ধারের কর্ম তত্পরতা৷
বৃষ্টি উপেক্ষা করে কারখানার ধ্বংসস্তুপ অপসারণ এবং নিঁখোজদের খোঁজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা৷ গাজীপুর জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ সদস্যদেরও ঘটনাস্থলে কর্মরত দেখা যায়৷ ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর ১৪তম ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের ১০০ সদস্য উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছেন৷
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ রাশিদুল হাসান জানান, ধ্বংসস্তূপে সেনাবাহিনী ও ফায়ার ব্রিগেডের ৫০ জনের মতো কাজ করছেন৷ ঈদের দিন হলেও বিরতিহীনভাবে কাজ চলছে, তবে স্বল্প পরিসরে৷
১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, দুর্ঘটনাস্থলে কারখানা ভবন থেকে মঙ্গলবারও ধোঁয়া বের হচ্ছে৷ দেখা যায়৷
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দিলীপ কুমার ঘোষ জানান, মঙ্গলবার ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে কোনো জীবিত ব্যক্তি বা লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি৷
গাজীপুর জেলা কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল হাসেম জানান, নিখোঁজ তালিকার ১২ জনের মধ্যে সোমবার দুইটি লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে৷ আরও ১০ জনের কোনো সন্ধান মেলেনি৷
নিখোঁজ ১০ জন হলেন-মাগুরা সদরের চনপুর ইডারন গ্রামের মালেক মোল্লার ছেলে আজিম উদ্দিন (৩৬), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের উকুলকি গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৭), লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের শিবপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে রিয়াদ হোসেন মুরাদ (৩২), সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ঝিগার বাড়িয়া সুলতান গাজীর ছেলে আনিছুর রহমান (৩০), কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের মেছেরা গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০), চাঁদপুরের কচুয়ার তেগরিয়া গ্রামের ইউনুস পাটোয়ারীর ছেলে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (৪৫), কুমিল্লার মুরাদনগরের টনকী গ্রামের তোফায়েল হোসেনের ছেলে মাসুম আহমেদ (৩০), ফরিদপুরের বোয়লমারীর ভীমনগরের মোজাম মোল্লার ছেলে চুন্নু মোল্লা (২১), কারখানার অপারেটর রেদোয়ান আহম্মদ (৩৭) এবং অপারেটর সিলেটের বিয়ানীবাজারের আলীনগরের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে জয়নুল ইসলাম (৩৫)৷
প্রসঙ্গত, ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোর ৬টার দিকে কারখানাটিতে আগুন লাগার ঘটনায় ৩৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন৷ এ ছাড়া আরও অনেকে আহতাবস্থায় চিকিত্সাধীন রয়েছেন৷