শনিবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » যেকোন জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই : সামসুল আরেফিন
যেকোন জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই : সামসুল আরেফিন
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২ আশ্বিন ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৪০মি.) যেকোন জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, এখন রাঙামাটির স্থানীয় ছেলেমেয়েরা নিজের ঘরে রান্না করা খাবার খেয়ে মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে, বলেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন ৷
১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের শিক্ষা উপবৃত্তির চেক বিতরন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ৷
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ চেক বিতরণ করেন এবং রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা গ্রহণ করেন ৷
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক বিতরন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ, রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির সদস্য জসীম উদ্দিন কবির ও রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমীর সম্পাদক মজিবুল হক বুলবুল ৷
বিদায়ী জেলা প্রশাসক প্রধান অথিতির বক্তব্যে বলেন, আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সকল সম্প্রদায়ের জন্য সমানভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি ৷ কোন বৈষম্য যাতে সৃষ্টি না হয় আমার জেলা প্রশাসন সেবিষয়ে খেয়াল রাখার চেষ্টা করেছে ৷ রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে পার্বত্যবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দেওয়া রাঙামাটিতে উচ্চ শিক্ষার সর্বোচ্চ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের সাথে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে ৷ রাঙামাটি সরকার মেডিকেল কলেজ ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন বিতর্কের উর্ধে থেকে সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৷ যেকোন জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, এখন স্থানীয় ছেলেমেয়েরা নিজের ঘরে রান্না করা খাবার খেয়ে মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে ৷ বিদায়ী জেলা প্রশাসক আরো বলেন, “আমি যেখানেই থাকি না কেন যেকোন সময় যেকোন প্রয়োজনে আপনারা রাঙামাটিবাসী আমাকে জানাবেন, যতদিন আমি বেঁচে থাকব ততদিন রাঙামাটিবাসীর পাশে থাকব”৷ রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সবসময় চেষ্টা করেছি এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করার৷ তিনি রাঙামাটি পার্বত্য জেলার স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় বিত্তবান, দাতা সংস্থা ও অভিবাবকদের রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উন্নয়নে পাশে দাড়ানোর আহবান জানান ৷
পরে প্রধান অথিতি সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে ২৭ জন প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীকে জনপ্রতি মাসিক ৩শত টাকা করে প্রত্যেকে তিন মাসের ৯শত টাকা করে ২৪ হাজার ৩শত টাকার চেক বিতরন করেন ৷
চেক বিতরন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরষ্কার প্রাপ্ত প্রতিবন্ধী ছাত্রী শ্যামলী চাকমা বিদায়ী জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিনকে একটি নিজের আঁকা ছবি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দুটি ছবি উপহার দেন ৷
এসময় রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সম্পাদক ও পরিচালক নুরুল আফসার, প্রধান শিক্ষক তাপসী চাকমা, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমন্ডলী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,অভিবাবক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ৷
শিক্ষা উপবৃত্তির চেক বিতরন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পম্পী বড়ুয়া ও রীতা ত্রিপুরা ৷