শনিবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » পাবনা » স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়ি অতঃপর থানায় অবস্থান
স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়ি অতঃপর থানায় অবস্থান
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: (২ আশ্বিন ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ স্ত্রীর স্বীকৃতি আদায়ে শুক্রবার রাতে চাটমোহরের বোয়াইলমারী গ্রামের মুনসুর রহমানের কলেজ পড়ুয়া ছেলে জাকির হোসেনরে বাড়িতে অবস্থান নেন পাশবর্তী উপজেলা বড়াইগ্রামের কুশমাইল গ্রামের নূর মোহাম্মদের মেয়ে উম্মে কুলসুম কণা ৷ এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ৷ ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে চাটমোহর থানায় মনসুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং বিয়ের স্বপক্ষে কনা কোন প্রমাণ দাখিল করতে না পারায় চাটমোহর থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয় ৷
উম্মে কুলসুম কনা জানান, “ভাইয়ের বন্ধু হিসেবে জাকির তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো ৷ এর পর ভাললাগা, ভালবাসা৷ পরবর্তীতে আমি ঢাকায় বসবাস শুরু করলে জাকির আমার বাসায় যাতায়াত শুরু করে ৷ ২০১৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর আমরা ঢাকার শ্যামলী এলাকার একটি কাজি অফিসে গিয়ে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করে একত্রে বসবাস শুরু করি ৷ সরকারী আইনানুযায়ী জাকিরের বিয়ের বয়স না হওয়ায় বিয়ে রেজিষ্ট্রি করানো সম্ভব হয় নি ৷ এ খবর পেয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় গিয়ে জাকিরকে তার পরিবারের কাছে বিয়ের ব্যাপারটি জানাতে বলে ৷ জাকির তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারা এ বিয়ের ব্যাপারে আপত্তি জানান ৷ শুরু হয় সম্পর্কের টান পোড়েন ৷ একপর্যায়ে ২০১৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঢাকার রামপুরায় একটি শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৷ সেখানে উভয় পরিবারের লোকজন আপোষ মীমাংসায় বসলে তিনটি শর্তে আমরা একে অপরের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাই৷ একটি শর্তে উল্লেখ থাকে বিয়ের বয়স পূর্ণ হলে জাকির আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে বাধ্য থাকবে ৷ জাকির বাড়িতে চলে যায়৷ আমার সাথে তার আর কোন যোগাযোগ থাকে না ৷ ৩/৪ মাস আগে চাটমোহর থানায় স্ত্রীর দাবিতে আমি একটি অভিযোগ দিলে থানার এসআই অর্জুন কুমার মজুমদার মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন ৷ বাধ্য হয়ে আমি গত শুক্রবার স্বামীর দাবীতে জাকিরের বাড়িতে অবস্থান নেই”৷ কনা জাকিরের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার পর পরই জাকির গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে ৷
এ ব্যাপারে জাকির জহুরুল ইসলাম জাকির জানান, উম্মে কুলসুম কনার সাথে আমার কখনো বিয়ে হয়নি ৷ শালিস বৈঠকের নামে যে আপোষ নামা করা হয়েছে সেখানে জোড় পূর্বক আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে ৷
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একরামুল হক জানান, মেয়েটি অভিযোগ দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে ৷ অভিযোগ পত্র পেলে যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ৷