বুধবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে টুম্পা হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ
গাজীপুরে টুম্পা হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরের মেয়ে নুশরাত জাহান টুম্পাকে হত্যার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত স্বামী গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সোলায়মান মিয়ার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিৰোভ করেছে এলাকাবাসী৷
২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার কোনাবাড়ি-কাশিমপুর সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে এলাকার শতশত নারী-পুরুষ অংশ নেন৷ মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী একটি বিৰোভ মিছিল বের করে৷
এ সময় নিহত নুশরাত জাহান টুম্পার পিতা বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই সোলায়মান তার মেয়ে টুম্পাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল৷ একমাত্র ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে মেয়ে সংসার করছিল৷ তিনি কাউন্সিলর সোলায়মানকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান৷
তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়কমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানান৷
মানববন্ধনে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শফিকুল আমিন তপন, আজাহারুল ইসলাম মোল্লা, মোঃ খলিলুর রহমান, আব্বাস উদ্দিন খোকন, শাহনাজ পারভিন, মাহমুদা আক্তার মুক্তি, শিল্পপতি মফিজুল ইসলাম, জাকির হোসেন, ফারুক হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা সরবেশ আলী খান, শেখ মোঃ আক্কাস আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷
মানববন্ধন চলাকালে নিহত টুম্পার বাবা-মা ও একমাত্র ছেলে নির্জন ইসলাম নাফি (৮) কান্নায় ভেঙে পড়েন৷
এ সময় নাফি জানায়, তার বাবা প্রায় সময়ই তার মা টুম্পাকে মারধর করত৷ সে তার মায়ের কাছে গেলে তার বাবা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিত৷ নাফি তার মাতৃহত্যার বিচার চায়৷
পরে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কোনাবাড়ি পারিজাত প্রাইমারি স্কুল মাঠে টুম্পার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়৷
এদিকে নিহত টুম্পার লাশ গত মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় এসে পৌঁছলে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন৷
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোলায়মান মিয়া তার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান নিয়ে ঢাকা উত্তরার ৭নং সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসায় কয়েক বছর ধরে বসবাস করতেন৷
নজরুল ইসলাম জানান, ১২ বছর আগে কাশিমপুরের ভবানীপুর এলাকার হাজি নুরুল ইসলামের ছেলে সোলায়মান মিয়ার সঙ্গে তার মেয়ে টুম্পার বিয়ে হয়৷ বিয়ের ৫ বছর পর থেকে বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে নির্যাতন করত সোলায়মান৷ সোলায়মান মিয়ার মাদকের নেশা ও নারী-সংক্রান্ত ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো৷
নিহত টুম্পার পিতা নজরুল ইসলাম আরও জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিত্সক মঙ্গলবার তাদের জানিয়েছেন টুম্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার আলামত পাওয়া গেছে৷