বুধবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে জীবনের ঝুকি নিয়ে স্কুল ভবনের ভেতরে পাঠদান
বিশ্বনাথে জীবনের ঝুকি নিয়ে স্কুল ভবনের ভেতরে পাঠদান
বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার প্রাচীনতম একটি প্রাথমিক বিদ্যাপীঠ হচ্ছে সদলপুর-তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ আর ওই বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করে অনেক শিক্ষার্থী দেশে বিদেশে বেশ সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন৷ কিন্তু বর্তমানে ওই বিদ্যালয়টি একটিমাত্র ভবনের অভাবে শিক্ষক আর শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবন নিয়ে পড়া-লেখা করে আসছেন৷ দীর্ঘদিন ধরে এক অজানা আতংকের মধ্য দিয়ে ওই বিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ণ ভবনের ভেতরে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান৷ বৃষ্টি হলে ভবনের ভেতরেই দাড়িয়ে থাকার বিন্দুমাত্র যায়গা পাওয়া যায়না৷ অফিস কক্ষের ভেতরে জরুরী কাগজপত্র নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন শিক্ষকরা৷ বৃষ্টির পানিতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার পুরাতন পেপারে মুয়া ওঠে গেছে ৷ পাশাপাশি বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধু আর প্রধানমন্ত্রীর ছবিগুলো পর্যন্ত৷ ছবিগুলো পানিতে ভিজে নষ্ট হওয়ায় প্রধান শিক্ষক আরও নতুন দুটি ছবি দেয়ালে লাগিয়েছেন৷ এমন করুন অবস্থায় জীবনের ঝুকি নিয়ে একটি ঝুকিপূর্ণ ভবনে পড়া-লেখা করছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা৷
জানাযায়, ১৯৩৪সালে ওই বিদ্যালয়টি বেসরকারিভাবে স্থাপিত হয়৷ স্থাপিতের প্রায় ৩৯বছর পর ১৯৭৩সালে ওই বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয়৷ এর পূর্বে দালানের তৈরী টিনসেডের একটি স্কুলঘর নির্মাণ করেন স্থানীয় জনসাধারণ৷ বর্তমানে ওই স্কুলঘরটির ওপরে কোনো ছাদ নেই৷ অনেক আগে ওই স্কুলঘরটিকে পরিত্যাক্ত করা হয়েছে৷ ওই স্কুলটি সরকারীকরণ হওয়ার প্রায় ৩০বছর পর গত ২০০৩-২০০৪অর্থবছরে ভাগ্যক্রমে সরকারিভাবে নির্মাণ করা হয় পূর্ণপাঁকা একটি ভবন৷ নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী আর অনিয়মের ফলে ভবনটি নির্মাণের মাত্র ১২বছরের ভেতরেই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে৷ ভবনের দেয়াল আর বিভিন্ন পায়া-লিন্ডারে ভয়াবহ ফাঁটল ধরেছে৷ বৃষ্টি হলেই ভবনের ছাদ দিয়ে ভেতরে পানি ঝরে৷ মেজেতে প্রায় ৫থেকে ৬ইঞ্চি পরিমান বৃষ্টির পানি জমে থাকে৷ অফিসের জরুরী কাগজপত্র নিয়ে বিপাকে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক৷ ওই ভবনটিও অনেক আগে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে৷ শিক্ষার্থীদের ওপর ভেঙ্গে পড়ার ভয় থাকলেও শিক্ষকরা অনেকটা নিরুপায় হয়ে শিক্ষার্থীদের ওই ভবনেই ক্লাস করাতে বাধ্য হয়েছেন৷ এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে চরম ব্যঘাত ঘটে পড়া-লেখার শুরুতেই অমনযোগী হয়ে পড়ছে৷ ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে৷
এছাড়াও ওই বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা টয়লেট ও ওয়াসব্লক নেই৷ এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনেকটা বিপাকে রয়েছেন৷ বিশেষ করে সরকারের শিক্ষানীতি ২০১০বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদ্যালয়টিকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত উত্তীর্ণ করতে হলে ওই বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা অতিঃজরুরী বলে মনে করছেন অনেকেই৷
এব্যপারে নব-নিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন- তিনি নতুন এসছেন সবকিছু এখনো জানতে পারেন নি৷ তবে এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যদি কোনো আবেদন না করা হয় তিনি সেই আবেদন করবেন বলে জানান৷