মঙ্গলবার ● ৪ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » সংসদ সদস্য রাসেলের হস্তক্ষেপে শৃঙ্খল মুক্ত হল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য
সংসদ সদস্য রাসেলের হস্তক্ষেপে শৃঙ্খল মুক্ত হল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য
গাজিপুর প্রতিনিধি :: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে গাজীপুরের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলের হস্তক্ষেপে অবশেষে শৃঙ্খল মুক্ত হল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য গাজীপুরের জাগ্রত চৌরঙ্গী।
৩ অক্টোবর সোমবার দুপুরে ‘গাজীপুর অনলাইন’ নিউজ পোর্টালের সম্পাদক সাংবাদিক এমএ কবিরের ফেসবুক ওয়ালে গাজীপুর চৌরাস্তায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের নির্বাচনী আসনে স্থাপিত দেশের প্রথম ভাস্কর্য জাগ্রত চৌরঙ্গী নিয়ে পোস্ট করা একটি ছবির মাধ্যমে জানতে পারেন কে বা কারা পল্লী বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের ক্যাবল ভাস্কর্যের দুই পায়ে দৃষ্টিকটুভাবে বেধে দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলে। বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের ক্যাবল অপসারণের জন্য এমপি রাসেল গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলমকে জানিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বললে জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক ঘ্টনাস্হল তদন্তের জন্য জন্য প্রতিনিধি টিম পাঠান। তদন্ত টিম অবৈধ সংযোগের ক্যাবল দেখতে পান এবং ক্যাবল অপসারণে প্রয়োজনীয় লোকবল ও সরঞ্জাম না থাকায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর দ্বারস্থ হয়ে বিকেলের মধ্যেই সংযোগের ক্যাবল অপসারণ করেন।
শুধু একজন সংসদ সদস্য হিসেবেই নয় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির গর্বিত সন্তান হিসেবে জাগ্রত চৌরঙ্গীর দৃষ্টিকটু এবং অবৈধ পল্লী বিদ্যুতের তার অপসারনে গাজীপুর ২ আসনের টানা তৃতীয় বারের সংসদ সদস্য এবং পর পর দু’বারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সংসদ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ায় মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধকারী গাজীপুরবাসীর মাঝে ব্যাপক স্বস্তি ফিরে আসে।
উল্লেখ্য, জাগ্রত চৌরঙ্গী মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের অসামান্য আত্মত্যাগের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য যা ১৯৭৩ সালে ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক নির্মান করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত এটিই প্রথম ভাস্কর্য।ডান হাতে গ্রেনেড, বাঁ হাতে রাইফেল। লুঙ্গি পরা, খালি গা, খালি পা আর পেশিবহুল এ ভাস্কর্যটি গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর চৌরাস্তার ঠিক মাঝখানে সড়কদ্বীপে অবস্থিত।
ভিত বা বেদিসহ জাগ্রত চৌরঙ্গীর উচ্চতা ৪২ ফুট ২ ইঞ্চি। ২৪ ফুট ৫ ইঞ্চি ভিত বা বেদির ওপর মূল ভাস্কর্যের ডান হাতে গ্রেনেড ও বাঁ হাতে রাইফেল। কংক্রিট, গ্রে সিমেন্ট, হোয়াইট সিমেন্ট ইত্যাদি দিয়ে ঢালাই করে নির্মিত এ ভাস্কর্যটিতে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩ নম্বর সেক্টরের ১০০ জন ও ১১ নম্বর সেক্টরের ১০৭ জন শহীদ সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম উৎকীর্ণ করা আছে।