বৃহস্পতিবার ● ২০ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » শৈলকুপায় আ’লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ১৮
শৈলকুপায় আ’লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ১৮
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৫ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা৬.৩৫মি.) ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দেবিনগর ও সাপখোলা গ্রামে ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ সমর্থিত দুটি সামাজিক দলের মধ্যে সংঘর্ষে আতিয়ার রহমান খা (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন৷ নিহত আতিয়ার খা দেবিনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর খাঁর ছেলে৷
পৃথক সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অনত্মত ১৮ জন আহত হয়েছেন৷ আহতদের মধ্যে দেবিনগর গ্রামের রাজ্জাক আলী, রুজদার আলী, সাপখোলা গ্রামের স্বপন মোল্লা (৪৫), সুজায়েদ হোসেন (৬০), জাহাঙ্গীর হোসেন (৬৫), রাজু আহম্মেদ (২০), টিপু হোসেন (৩৫), লাল্টু (৫০) ও তার ছেলে জসিম উদ্দিন (২২), মিলন হোসেন (২৫), আশরাফুল হোসেন (২২), টিটো শিকদার (৪৫), শিমুল হোসেন (২২) ও রাজু হোসেনের পরিচয় পাওয়া গেছে৷
শৈলকুপার রামচন্দ্র পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা অজয় কুমার জানান, ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবিনগর গ্রামের আওয়ামীলীগ সমর্থিত সামাজিক দলের নেতা আতিয়ার রহমান খাঁ ও শাহজাহান মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে৷
এতে উভয় পক্ষ ঢাল, ভেলা, ফালা ও দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়৷ এসআই অজয় কুমার আরো জানান, সংঘর্ষে এক পক্ষের সামাজিক দলের নেতা আতিয়ার রহমান খাঁকে ফালা মেরে প্রতিপক্ষরা হত্যা করে৷ এ সময় রুজদার আলী ও আব্দুর রাজ্জাকসহ ৩ জন আহত হন৷
এ নিয়ে দেবিনগর গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ যে কোন সময় বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে গ্রামবাসি আশংকা করছে৷
অন্যদিকে শৈলকুপার সাপখোলা গ্রামে আওয়ামীলীগের ফারুক ও টিটো গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন৷ শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক হোসেন ও একই দলের টিটোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিসত্মার নিয়ে বিরোধ চলছিল৷
এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন ঢাল সড়কি, হাসুয়া, রামদা, ফালা ও লাঠি এবং গ্রাম্য বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন৷
এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে৷ বর্তমানে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে৷ তবে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷