শনিবার ● ২২ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ধামাই চা বাগানের মালিকের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ : ক্ষুব্দ চা শ্রমিকরা
ধামাই চা বাগানের মালিকের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ : ক্ষুব্দ চা শ্রমিকরা
সিলেট জেলা প্রতিনিধি :: (৭কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বেলা ৩.৩৬মি.)সিলেটের জুড়ী উপজেলার ধামাই চা বাগানের ব্যবস্থাপক মালেক নেওয়াজ ওয়াইজের বিরুদ্ধে বাগানের রেশন সরবরাহকারীর বকেয়া পরিশোধ করে টাকা ছিনতাইর গুজব ছড়িয়ে শ্রমিকদের বিক্ষুব্দ করার অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাগানে যাওয়ার পথে ১৬ লাখ টাকা ছিনতাইর খবরে ২১ অক্টোবর শুক্রবার সকালে কয়েকশ’ বিক্ষুব্দ শ্রমিক-কর্মচারী টাকা উদ্ধার ও ছিনতাই কারীদের গ্রেফতারের দাবীতে থানা প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে। কুলাউড়া সার্কেলের এসএসপি, জুড়ী উপজেলা পরিষদেও ভাইস চেয়ারম্যান, চা শ্রমিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জানার পর শ্রমিকরা থানা ঘেরাও কর্মসুচি প্রত্যাহার করে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, জুড়ী উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী রুসমত আলম ধামাই চা বাগানে শ্রমিক রেশন (চাল, আটা) সরবরাহ করেন। গত তিন বছরে বাগানে তার ২৪ লাখ ৮১ হাজার ৪শ’ টাকা আটকা পড়ে। টাকা পরিশোধের একাধিক তারিখ করেও বাগান কর্তৃপক্ষ তা দেয়নি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও ম্যানেজার মালেক নেওয়াজ ওয়াইজ ব্যাংক থেকে শ্রমিক-কর্মচারীর বেতনের ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা তোলে রুমসমত আলমের সাথে যোগাযোগ না করেই বাগানে রওয়ানা দেন।
এসময় রুসমত আলম পাওনা টাকা পরিশোধের তাগদা দেন। ম্যানেজার প্রথমে না চাইলেও পরে ব্যাংক থেকে তোলা সমুদয় টাকা দিয়ে বাগানে চলে যান। এরপর বাগানে গিয়ে তিনি রুসমত আলম দলবল নিয়ে বাগানের টাকা ছিনতাই করেছেন জানালে বাগানের শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। শুক্রবার সকালে কয়েকশ’ নারী-পুরুষ শ্রমিক-কর্মচারী থানা ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে পুলিশের এসএসপি (কুলাউড়া সার্কেল) জুনায়েদ আলম সরকার, জুড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি, পুর্বজুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান মইনউদ্দিন মইজন, চা শ্রমিক নেতা যাদব, সেভেন নায়েক, মনা রুদ্র পালসহ নেতৃবৃন্দ ওসির কার্যালয়ে বাগান ব্যবস্থাপক মালেক নেওয়াজ ওয়াইজ ও রেশন সরবরাহকারী রুসমত আলমের সাথে বৈঠক করে আসল ঘটনা জানতে পারেন।
কুলাউড়া সার্কেলের এসএসপি জুনায়েদ আলম সরকার জানান, এটা ছিনতাইর কোন ঘটনা ছিল না। ছিনতাইর গুজব ছড়িয়ে শ্রমিকদের উত্তেজিত করার চেষ্টা চালানো হয়। উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টির সমঝোতা হয়েছে।