সোমবার ● ২৪ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে টাকা আত্মসাত্ ও প্রতারণা মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার
বিশ্বনাথে টাকা আত্মসাত্ ও প্রতারণা মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: (৯কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১১.০৭মি.) পুলিশে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাত্ ও প্রতারণার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামী বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তবলপুর গ্রামের মৃত ছুনুফর আলীর পুত্র ও ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি রইছ আলী (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
শনিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে৷ রবিবার তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়৷
জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার মুফতির বাজারের পলস্নী চিকিত্সক ও ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার হামির্দি পুর্বপাড়া গ্রামের মো. কামরম্নজ্জামানের ভাগ্নেকে পুলিশে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তবলপুর গ্রামের ছুনু মিয়ার পুত্র রইছ আলী ৬ লক্ষ টাকা নেন৷ ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর স্ট্যাম্পের মাধ্যমে এই টাকা গ্রহন করেন রইছ আলী৷ ঐ চুক্তিনামায় স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছেন তবলপুর গ্রামের মুক্তিযুদ্ধা ছৈইফ উল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধা আলকাছ আলী সহ অনেকেই৷ চুক্তিনামা অনুযায়ী পুলিশে চাকুরী দিতে ব্যর্থ হওয়ায় রইছ আলী গত ১২ এপ্রিল ৬ লাখ টাকার মধ্যে ২লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেন এবং বাকী টাকা ফেরত দিতে এক সপ্তাহের সময় চেয়ে নেন৷ কামরুজ্জামান পরবর্তীতে রইছ আলীর কাছে টাকা চাইলে সে উত্তিজিত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে৷
এবিষয়ে গত ১১ মে রইছ আলীকে অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন কামরুজ্জামান৷ থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে না নেওয়ায় পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্বরনাপন্ন হন কামরুজ্জামান৷ তখন বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিতভাবে নির্দেশ প্রদান করেন ডিআইজি৷
বিশ্বনাথ থানা পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড না করায় পরবর্তীতে কামরুজ্জামান ফরিদপুর জেলা আদালতে মামলাটি দায়ের করেন৷
সিআর মামলা নং ২০৬/১০১৬ ইংরেজি৷ মামলা দায়েরের পর আদালত আসামী রইছ আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন৷