বুধবার ● ২৬ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে স্কুলছাত্রী হত্যায় অভিযুক্ত যুবকের আত্মহত্যা
গাজীপুরে স্কুলছাত্রী হত্যায় অভিযুক্ত যুবকের আত্মহত্যা
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১১ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৫৯মি.) গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্কুলছাত্রী মুন্নি হত্যায় অভিযুক্ত আরফাত সরকার (২৩) আত্মহত্যা করেছেন৷
২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় তিনি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন৷
আরফাত সরকার কালিয়াকৈরের চাপাইর এলাকার আতাউর সরকার ছেলে৷
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন জানান, উপজেলার কতুবদিয়া এলাকায় ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী মুন্নীকে নিজ ঘরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়৷ নিহত মুন্নীর স্বজনদের দাবি, প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে আরাফাত ঘরে ঢুকে মুনি্নর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে৷
এ ঘটনায় মুন্নির বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত আরফাত সরকারকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন৷
স্থানীরা জানান, মঙ্গলবার মুনি্নর লাশ উদ্ধারের পর আরাফাত পালিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর গ্রামে তার ফুপুর বাড়িতে চলে আসেন৷ সেখানে মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় তিনি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন৷
২৬ অক্টোবর বুধবার সকালে স্বজনরা আরাফাতের ঝুলন্ত লাশ দেখে তা নামিয়ে আরফাতের গ্রামের নিজ বাড়ি চাপাইর নিয়ে যায়৷
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে৷
উল্লেখ্য, কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শহিদের মেয়ে এবং চাপাইর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষার্থী মুনি্নকে (১৫) উত্যক্ত করতেন আরাফাত সরকার৷ মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ মুনি্নর লাশ উদ্ধার করে৷
মুন্নির ভাই রিপন জানান, মুনি্নকে উক্ত্যতের ব্যাপারে আরাফাতের মা-বাবার কাছে বিচার দিলেও তারা বিষয়টি আমলে নেননি৷ এ নিয়ে আরাফাত মুনি্ন ও তার বাবা শহিদকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে৷
তিনি জানান, মুন্নি তাদের বাড়ির একটি রুমে একা থাকত৷ তিনি স্ত্রী নিয়ে এবং বাবা-মা ও আরেক বোন পৃথক রুমে থাকতেন৷ সোমবার রাতে তার বাবা-মা ও অপর বোন পাশের গ্রামে গান শুনতে যান৷ সেখান থেকে ফিরে তারা যার যার ঘরে ঘুমাতে যান৷ মঙ্গলবার ফজরের আযানের সময় তার মা ঘুম থেকে উঠে বাড়ির গেটের ভেতর আরফাতকে দেখেন৷ পরে আরাফাত এখানে কেনো এসেছে তার মা জিজ্ঞাসা করলে হাটতে এসেছে বলে জানায়৷ এক পর্যায়ে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়৷ পরে মা ঘরে এসে খাটের উপর গলায় ওড়না দিয়ে প্যাচানো অবস্থায় মুন্নি পড়ে থাকতে দেখেন৷
মুন্নির পরিবারের দাবি, আরফাত ওই রাতে তাদের ঘরে লুকিয়ে ছিল এবং শ্বাসরোধ করে মুন্নিকে হত্যা করেছে৷