শনিবার ● ২৯ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেটে কাওসার অটো রাইস মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
সিলেটে কাওসার অটো রাইস মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
সিলেট জেলা প্রতিনিধি :: (১৪ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৪২মি.) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার টেকনিক্যাল রোডের একটি অটো রাইস মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এতে ওই রাইস মিলের গুদামে রক্ষীত চাল পুড়ে যায় ও একটি ট্রাক পূড়ে যায়। এ সময় অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ছুটির দিন থাকার কারণে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা তাৎক্ষনিক ভাবে কেউ বলতে পারেনি।
২৮ অক্টোবর শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ -৯ টার দিকে টেকনিক্যালের নিউ কাওসার অটো রাইস মিলে এ আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে পথচারীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার আগে স্থানীয় জনতা আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু রাইস মিলে চাউলের বস্তা ও তোষ থেকে আগুন দ্রুত গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। তাই জনতা আগুন নেভাতে পারছিলেন না।
এদিকে আগুনের লেলিহান শিখা গুদামের চালের বস্তায় ছড়িয়ে যায়। সেখানে থাকা একটি তিন টনের ট্রাকও ভস্মীভূত হয়। ঘটনার ২০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসে।
এর আগে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রাস্তা যানজটমুক্ত ও জনতার ভিড়মুক্ত করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে টেকনিক্যাল রোডে প্রবেশে সহায়তা করে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ সুরমার স্থানীয় কাউন্সিলর লিপনবক্স, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিব হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনতাকে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করেন।
প্রায় আধঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল বাহিনীর কর্মীরা। তবে পানি সংকটে পড়ায় একপর্যায়ে তারা সুরমা নদী থেকে পানি আনতে হয়। কাওসার মিলের মালিক আবদুল মুমিনের ভাই মজনু মিয়া বলেন, মিলটি আজ বন্ধ ছিল। কেউ শত্রুতাবশত আগুন লাগাতে পারে। কীভাবে আগুন লেগেছে কেউ জানে না।
দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আতাউর রহমান জানান, তিনি পুলিশ পাঠিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করেছেন যাতে ফায়ার সার্ভিস নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে। পুলিশ, জনতা ও দমকল বাহিনীর সম্মিলিত চেষ্টায় ভয়াবহ আগুন থেকে অন্য দোকানগুলো রক্ষা পেয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সিলেটের পরিদর্শক শামসুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগেও ফায়ার সার্ভিস থেকে কাওসার মিলটি পরিদর্শন করে মালিককে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রাখতে ও মিলে পুরাতন বিদ্যুৎ লাইন সরাতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি তা মানেননি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পুরাতন বিদ্যুতের লাইনের শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লাগতে পারে।