মঙ্গলবার ● ১ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১৭ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.১৫মি.)গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়াকে দুর্নীতির একটি মামলায় গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)৷
১ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে দুদকের একটি দল গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয় থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে জয়দেবপুর থানায় নিয়ে যায়৷ পরে তাঁকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা খানম শিল্পী তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷
গ্রেফতার গোলাম কিবরিয়া (৪৬) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মোতাহার উদ্দিনের ছেলে৷
দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে তাঁরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে অভিযান চালিয়ে গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেফতার করেন৷
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলের ৪৯ লাখ এক হাজার ৮৪৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৩ জুন দুদকের উপপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) মো. সামছুল আলম বাদী হয়ে সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে প্রধান আসামি করে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা করেন৷ ওই মামলায় সিটি কর্পোরেশনের তত্কালীন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী মো. গোলাম কিবরিয়াও এজাহারভুক্ত আসামি৷
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়কালে কর্পোরেশনের ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলে মোট এক কোটি তিন লাখ আট হাজার ১৩২ টাকা আয় দেখানো হয়৷ ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলের আয়গুলো কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে নিয়মবহির্ভূতভাবে ‘ক্যাশ ইন হ্যান্ড’ হিসেবে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়ার কাছে সংরক্ষিত রাখেন৷ এর মধ্যে ৯০ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৬ টাকা খরচ দেখানো হয়৷ এই খরচের টাকার মধ্য থেকে ৪৯ লাখ এক হাজার ৮৪৮ টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ভুয়া গ্রহীতা দেখিয়ে ৯৯৯টি ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাত্ করার প্রমাণ পায় দুদক৷
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়া পরস্পর যোগসাজশে অনুদান এবং ব্যয় দেখিয়ে ওই পরিমাণ অর্থ আত্মসাত্ করেছেন৷ এ অপরাধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়৷ এতে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুমোদন রয়েছে৷
এর আগে কারাবন্দি এম এ মান্নানকেও একই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় বলে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম জানান৷