রবিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের ৬৮তম জন্মদিন
নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের ৬৮তম জন্মদিন
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২৯ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৫০মি.) প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৬৮তম জন্মদিন পালিত হয়েছে গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের নুহাশ পল্লীতে৷ এ সময় নুহাশ পল্লীর আয়োজনে হুমায়ূন সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়৷
১৩ নভেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় হুমায়ূনের ছেলে নিষিদ ও নিনিত এবং স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন আনুষ্ঠানিকভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান৷
পরে মোনাজাত শেষে নুহাশ পল্লীতে স্থাপিত হুমায়ূন ম্যুরালের সামনে আপেল তলায় কেক কাটেন তার দুই ছেলে নিষিদ ও নিনিত৷ এ সময় শতাধিক ভক্ত, সাংবাদিক ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন৷
হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, খুব সহজভাবে হুমায়ূন আহমেদ তার জন্মদিন পালন করতেন৷ তিনি জন্মদিনের আনন্দটা শেয়ার করতেন৷ তিনি অন্যের আনন্দটা নিজের মাঝে শেয়ার করতেন৷ এই আনন্দের মাঝে খুব সুক্ষ্মভাবে একটা দু:খবোধ ছিল যে মৃত্যুর দিকে আরও একটি বছর এগিয়ে যাওয়া৷ শাওন আরো বলেন, হুমায়ুন আহমেদকে প্রকৃতভাবে জানতে হলে তার একটা, দুটা বই পড়লে হবে না৷ তার সবগুলো বই পড়তে হবে৷ কারণ তার দর্শনের সংমিশ্রণগুলো একটি বইতে পাওয়া যাবে না৷
এদিকে সকাল পৌণে ১০টার দিকে হুমায়ূন আহমেদ’র ভাই ডঃ অধ্যাপক মো. জাফর ইকবাল, ছোটভাই কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব এবং তিন বোন সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহীদ, রোকসানা আহমেদসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা নুহাশপল্লীতে আসেন এবং কবর জিয়ারত করেন৷ সকাল ১০টার দিকে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, আহসান হাবিবসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা তার সমাধি জিয়ারত করেন৷
ডঃ জাফর ইকবাল বলেন, হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিগুলো এখন দেশের বাইরেও ভিন্ন ভাষায় প্রচার হচ্ছে৷ এটা ভালো যে মানুষ তাকে আরও ভালোভাবে এবং বেশি জানতে পারছে৷ তবে সেগুলো নিয়ম মেনে হচ্ছে কিনা- এটা আমার জানার বিষয়৷ কারণ হুমায়ূন আহমেদের উত্তরাধিকার হলো তার সন্তানেরা৷ তারা রয়্যালিটি পাচ্ছে কিনা বা তাদের অনুমতি নিয়ে প্রচার হচ্ছে কিনা- সেগুলো দেখা দরকার৷
তার অপর ভাই আহসান হাবীব ও বোন সুফিয়া হায়দার জানান, হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সমসত্ম পরিবারের সমসত্ম আনন্দ উত্সবের প্রধান ব্যক্তি ছিলেন৷ এজন্য আমরা তাকে বেশি মিস করি৷ নুহাশ পলস্নীতে যতবার এসেছি তার সঙ্গে এসেছি৷ এখন তাকে ছাড়া আসতে হচ্ছে৷
ছোট বোন সুফিয়া হায়দার বলেন, জন্মদিনেও আমরা আনন্দ করতে পারিনা৷
লেখক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার ডাক নাম ছিল কাজল৷ বাবার রাখা তার প্রথম নাম শামসুর রহমান৷ পরে তিনিই ছেলের নাম বদলে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ৷ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান৷ পরে ২৪ জুলাই গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকায় নুহাশ পল্লীর লিচুগাছ তলায় হুমায়ূন আহমেদকে দাফন করা হয়৷