মঙ্গলবার ● ১৫ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মাটিরাঙ্গায় নানা আয়োজনে নবান্ন উত্সব পালন
মাটিরাঙ্গায় নানা আয়োজনে নবান্ন উত্সব পালন
অন্তর মাহমুদ, মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :: (১ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫৫মি.) বাংলার আবহমান কৃষিজ সংস্কৃতিকে ধারণ করে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, ধান কাটা ও পিঠা উত্সবের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় প্রথমবারের মতো নানা আয়োজনে উদযাপিত হলো নবান্ন উত্সব৷ “আজি নবান্ন উত্সবে নবীন গানে” আয়রে সবে আয়রে ছুটে প্রাণের টানে “গোলায় ভরেছি ধান কন্ঠে জেগেছে গান” মন মেতেছে আনন্দেরি গানে গানে’ শ্লোগানে ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে মাটিরাঙ্গার চরপাড়া গিয়ে শেষ হয়৷
মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি বিভাগ যৌথভাবে এ নবান্ন উত্সবের আয়োজন করে৷ চরপাড়ার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ধান কেটে নবান্ন উত্সবের সুচনা করেন প্রধান অতিথি মাটিরাঙ্গার ইউএনও বিএম মশিউর রহমান৷
মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শাহ আলম মিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল খালেক ও বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মো. আলী আকবর প্রমূখ৷
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইউএনও বিএম মশিউর রহমান বলেন, নবান্ন উত্সব আমাদের অন্যতম প্রধান শষ্যোত্সব৷ আজ ঘরে ঘরে নতুন আনন্দের আমেজ বিরাজ করছে৷ মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান খাদ্যশষ্য কে কেন্দ্র করে নবান্ন উত্সব চারিদিকে চলছে৷ নবান্ন উত্সব আমাদের লোকজ সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, একটা নির্দিষ্ট সময় অতিক্রমের পর ১ অগ্রহায়ণ মাসে কৃষকের ঘরে নতুন ধান উঠতে শুরু করে৷ আগেকার দিনে জারিসারি গান গেছে মহাধুমধামে ধান কাটা হতো উল্লেখ করে তিনি সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন,বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রভাবে বর্তমানে আর এই সব উত্সব দেখা যায় না৷
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মাটিরাঙ্গার এসিল্যান্ড মোহাম্মদ রায়হানুল হারুন,সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা, গোমতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন লিটন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান, মাটিরাঙ্গা পৌর কাউন্সিলর মো. শহীদুল ইসলাম সোহাগ, মো. আলী মিয়া, মো. এমরান হোসেনসহ কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা, সংবাদকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও কৃষক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন৷