বৃহস্পতিবার ● ১৭ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে জুমচাষ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভা
রাঙামাটিতে জুমচাষ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৩ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩৩মি.) চিটাগং হিল ট্রাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ এর অধীনে রুলস্ ফর দ্যা এ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ দ্যা চিটাগং হিল ট্রাক্টস এর জুমচাষ নিয়ন্ত্রণ বিধি ৪১ এ ও ৪২ সংশোধন করে সরকার পাহাড়ে জুমচাষ ব্যবস্থাপনার কর্তৃত্ব রঙামাটিসহ অপর দুই পার্বত্য জেলা পরিষদের উপর ন্যস্ত করেছে। পার্বত্য মন্ত্রণালয় ২০১৩সালের ২৫এপ্রিল এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এরই আলোকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ জুমচাষ ব্যবস্থাপনায় প্রবিধান প্রণয়ন করবে। ইতিমধ্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ জুমচাষে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত গ্রহণ শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে ১৭নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। সভায় রাঙামাটির চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায়, জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মো. মুছা মাতব্বর, সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, পরিষদের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, হেডম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কেরোল চাকমাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মৌজা হেডম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রণীত খসড়া প্রবিধানের প্রতিটি অধ্যায়ের উপর মতামত প্রদান করেন। তিনি জুম সংক্রান্ত প্রবিধান প্রণয়নের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত বিষয়গুলির উপর গুরুত্বারোপের উপর জোর দেন। এক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্য এবং কৃষ্টির সঙ্গে যাতে সাংঘর্ষিক না হয় এ বিষয়ে নজর রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত চট্টগ্রামের জুমচাষ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রবিধানটি সার্কেল চীফ ও হেডম্যানদের সাথে সমন্বয় রেখেই করা হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন ও পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সার্কেল চীফ, হেডম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের মতামত এবং পরামর্শ প্রয়োজন। এতে জেলাপরিষদগুলো আরো গতিশীল হবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
প্রচলিত প্রথায় জুমচাষের ক্ষেত্রে পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়, হাতি বাঘ ভাল্লুক বিভিন্ন সরিসৃপ এমনকি কীট পতঙ্গ সমুলে ধ্বংস হয়ে যায়। পার্বত্য অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষায় আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভুটানের ন্যায় উচু পাহাড়ে সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে আবাদযোগ্য জমি করে জুমচাষের পরিবর্তে চাষ করা যাবে। তাতে প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষের খাদ্য ঘাতটি অনেকাংশে কমে যাবে এবং পরিবেবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পাবে বলে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর কাছে অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী ও বিজ্ঞমহল।