বৃহস্পতিবার ● ২৪ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলো তাদের দাবী দাওয়া আদায় করতে চাইলে আওয়ামীলীগ কখনোই বরদাস্ত করবেনা : দীপংকর তালুকদার
পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলো তাদের দাবী দাওয়া আদায় করতে চাইলে আওয়ামীলীগ কখনোই বরদাস্ত করবেনা : দীপংকর তালুকদার
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১০ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.০৫মি.) বাংলাদেশের নিয়মাতান্ত্রিক ও গনতান্ত্রিক রাজনীতি ত্যাগ করে পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলো যদি অবৈধ অস্ত্র দিয়ে তাদের দাবী দাওয়া আদায় করতে চাই সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মিরা কখনো বরদাস্ত করবেনা বলে হুুশিয়ারী দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার।
তিনি বলেন, অধিকার আদায়ের নামে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে কতিপয় আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের পাশাপাশি এই জিম্মিদশা থেকে রেহাই পেতে পাহাড়ী বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার ২৪নভেম্বর সকালে রাঙামাটির দূর্গম লংগদু উপজেলায় দীপংকর তালুকদারকে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য করায় লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে গণ সংবর্ধনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল বারেক সরকারের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় আরো বক্তব্য রাখেন, ৩৩৩,ম৩৩ আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা মহিলা লীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসা, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজি কামাল উদ্দিন, জেলা কৃষক লীগ সভাপতি জাহিদ আক্তার, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ কাজল, লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মো. জানে আলম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন’সহ লংগদু উপজেলার নের্তৃবৃন্দরা ।
সভায় দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, বর্তমান সরকার পাহাড়ের মানুষের শান্তির জন্য শান্তিু চুক্তি করেছে। ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন করেছে। কিন্তু এই অবৈধ অস্ত্রের কারণে এগুলো বিলম্ব হতে বাধ্য হচ্ছে। পাহাড়ের মানুষের জীবন যাপন যদি স্বাভাবিক অবস্থা না হয় তাহলে এই শান্তিচুক্তি ও ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কখনোই সম্ভব নয়। এদের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাড়াতে হবে।
সভায় সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, পাহাড়ের অস্ত্রধারীদের সহযোগিতায় যারা দালালি করে তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহৃত করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ দেশকে একটি সোনার বাংলাদেশে রুপান্তরিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা তাকে হত্যা করে পাকিস্থানী রাষ্ট্রে পরিনত করতে চক্রান্ত চালাছিলো। তার সুযোগ্য কন্যা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহৃত রাখতে আগামী নির্বাচনে তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ্য হয়ে নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে ভালোবাসে বিধায় জননেতা দীপংকর তালুকদারকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত করেছে।
তিনি বলেন, এই পাহাড়ের মানুষের কল্যাণে একমাত্র অভিভাবক হিসেবে দীপংকরই নির্তৃত্ব দিতে পারবে। তাই আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে রাঙামাটির আসনটি নেত্রীকে উপহার হিসেবে দিতে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।
পরে সংবর্ধনায় সভায় শতাধিক বিএনপি’র নেতাকর্মী ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।