শনিবার ● ২৬ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » খেলা » চট্টগ্রামে দিনব্যাপী ডোপিং বিরোধী কর্মশালা সম্পন্ন (ভিডিওসহ)
চট্টগ্রামে দিনব্যাপী ডোপিং বিরোধী কর্মশালা সম্পন্ন (ভিডিওসহ)
চট্টগ্রাম থেকে ফিরে নির্মল বড়ুয়া মিলন :: (১২ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৫৫মি.) “ডোপিং - কে না বলুন” শ্লোগান নিয়ে খেলাধুলায় মাদক নির্মুলে ডোপিং বিরোধী শিক্ষা এবং সচেতনতামুলক কর্মশালা চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইউনেস্কো এর খেলাধুলায় মাদক নির্মুলকরন তহবিল, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন ও ওয়ার্ল্ড এন্টি ডোপিং এজেন্সি’র আয়োজনে ২৬ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কে,বি আব্দুস ছাত্তার মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. ওমর ফারুক এনডিসি এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন।
বিশেষ অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ।
কর্মশালার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওযাৎ করেন মাদ্রাসা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মো. হারুনুর রশীদ।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন প্রধান অথিতির বক্তব্যে বলেন, যুবসমাজকে এবং খেলাধুলার জগৎকে ডোপিংমুক্ত রাখতে ডোপিং বিরোধী শিক্ষা এবং সচেতনতামুলক কর্মশালা বর্তমান সরকারের একটি যুগপযোগী পদক্ষেপ। ডোপিং এর বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম যুবসমাজের মধ্যে বর্তমানে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এ কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে সারা দেশে পরিচালনার জন্য আয়োজকদের অনুরোধ জানান মেয়র ।
বিশেষ অথিতি কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ বলেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল নির্মাণের জন্য বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে ১০টি সুইমিং পুল থাকলেও চালু রয়েছে মাত্র ২টি, বাকী ৮টি সুইমিংপুল অকেজো অবস্থায় রয়েছে, কারণ সুইমিংপুল কার্যকরী রাখতে হলে তহবিল ও জনবলের অধিক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল নির্মাণের বিষয়ে বিকেএসপি ও জাতীয় দলের প্রাক্তন সাতারু মাহবুবুর রহমান সাগর সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল নির্মাণ করা হলে চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানের সাতারু তৈরী করা সম্ভব হবে।
ডোপিং বিরোধী শিক্ষা এবং সচেতনতামুলক কর্মশালায় বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ও ফেডারেশনের ১০ জন অফিসিয়াল, ৪৮ জন প্রশিক্ষক, ১২৯ জন খেলোয়াড় ও ৯ জন সাংবাদিকসহ মোট ১৯৬ জন অংশ গ্রহণ করেন।
কর্মশালা মাত্র ৭৫ জনের জন্য আয়োজন করা হলেও খেলোয়াড় ও অফিসিয়াল কর্মকর্তাদের অধিক আগ্রহের কারণে ১৯৬ জন অফিসিয়াল, খেলোয়াড় ও সাংবাদিক অংশ গ্রহণ করেন।
ডোপিং বিরোধী শিক্ষা এবং সচেতনতামুলক কর্মশালা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের এন্টি ডোপিং কমিটির সদস্য সচিব ডা. শফিকুর রহমান।
ডোপিং বিরোধী শিক্ষা এবং সচেতনতামুলক কর্মশালা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রঞ্জিত কুমার দাশ।
উল্লেখ্য, ডোপিং বিরোধী শিক্ষা এবং সচেতনতামুলক কর্মশালা বাংলাদেশে প্রথম বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) পরে ঢাকা বিভাগে এবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়।
পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী ডোপিং বিরোধী শিক্ষা এবং সচেতনতামুলক কর্মশালা পরিচালনা করা হবে বলে সিএইচটি মিডিয়াকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের এন্টি ডোপিং কমিটির সদস্য সচিব ডা. শফিকুর রহমান।