শুক্রবার ● ২ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » অস্ত্র দেখিয়ে চুক্তি বাস্তবায়ন কখনোই সম্ভব না : দীপংকর তালুকদার
অস্ত্র দেখিয়ে চুক্তি বাস্তবায়ন কখনোই সম্ভব না : দীপংকর তালুকদার
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১৮ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বেলা ১.৪৫মি.) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৯তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার ২রা ডিসেম্বর রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে র্যালী, আলোচনাসভা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২রা ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে শান্তির পায়রা উড়িয়ে র্যালীটি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়ে আলোচনাসভায় মিলিত হয়।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ৩৩৩,ম-৩৩ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সানাউল হক এসজিপি, পিএসসি, রাঙামাটি জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রিদুয়ান, রাঙামাটি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদ উল্লাহ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ, সবির কুমার চাকমা, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা ও রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, চুক্তি বাস্তবায়ন এর জন্য সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ৭২ টি ধারার মধ্যে ৪৮ টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে বাকী ধারাগুলো চলমান রয়েছে। সরকারকে সময় দিতে হবে, গালিগালাজ, অসহযোগ আন্দোলন করে কখনো চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র যতদিন উদ্ধার করা হবে না ততদিন এই পার্বত্য অঞ্চলে অশান্তি চলতেই থাকবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।
দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আরো সৌচ্চার হতে হবে এবং সাধারন জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সাথে আলাপ আলোচনায় আসুন। অস্ত্র দেখিয়ে চুক্তি বাস্তবায়ন কখনোই সম্ভব না।
আলোচনা সভায় সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো পাহাড়ে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নে বাঁধা দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে বাঁধা সৃষ্টি করছে।
চিনু বলেন, সরকারের সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করে সরকারের উন্নয়নের কাজে বাঁধা দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি সংঘর্ষ না করে আঞ্চলিক দলগুলোকে চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, বর্তমান সরকার পাহাড়ের গণ মানুষের কথা চিন্তা করে আন্তরিকতার সাথে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি পিসিজেএসএস’র সাথে শান্তি চুক্তি করেছে। আওয়ামীলীগ সরকার চুক্তি করেছে আওয়ামীলীগ সরকারই বাস্তবায়ন করবে। এতে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই।
রাঙামাটিতে পার্বত্য চুক্তির ১৯ বর্ষপূর্তিতে জেলা পরিষদের আয়োজনে শুক্রবার ৩টায় রাঙামাটি চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও সন্ধ্যা ৬টায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।