সোমবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » বিশ্বনাথে সবজির বাম্পার ফলনে সাফল্য পাচ্ছেন চাষীরা
বিশ্বনাথে সবজির বাম্পার ফলনে সাফল্য পাচ্ছেন চাষীরা
মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: (২৮ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৫৮মি.) বিশ্বনাথের বিভিন্ন স্থানে শীতকালিন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব সবজি চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক চাষীরা। বিভিন্ন পেশার মানুষ সবজি চাষ করতে দেখা যায়। উপজেলার কারিকোনা গ্রামের কৃষক ওয়াহাব আলী,হরিপুর গ্রামের আবদুল খালিক ও শাহজিরগাও গ্রামে বসবাসকারি মকবুল আলীর সবজি চাষে সাফল্য চমকে দেয়ার মতো। শুধু ওয়াহাব, আবদুল মুমিন ও মকবুল আলী নয় বিশ্বনাথে এ রকম অনেক সফল সবজি চাষি রয়েছেন। যাদের সাফল্য গাঁথা অন্যদের উজ্জীবিত করছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর ব্যাপকভাবে সবজি চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ছহিফাগঞ্জ, মাধবপুর, কর্মকলাপতি, হরিপুর, রহিমপুর, কারিকোনা,তবলপুর, রামাইরচক, রামপুর, খালপার, মুছেধর, সোনাপুর, মুফতির বাজার, তালিবপুর, হোসেনপুর, বন্দুয়া,বাওনপুর, শাহজিরগাও, কাদিপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার একর জমিতে ব্যাপক সবজি চাষ হয়েছে। এক সময় এসব এলাকা আলু চাষের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। কিন্তু তাতে মন্দা দেখা দেয়ায় এখন তারা টমেটো, করলা,লাউসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। শুধু হরিপুর গ্রামের প্রায় ৫০ জন কৃষক অন্তত ১০০ একর জমিতে সবজি চাষ করেছেন। এর মধ্যে টমেটো চাষ করা হয়েছে প্রায় ৭০ একর জমিতে। এছাড়া চাষকৃত সবজির মাঝে রয়েছে বেগুণ, আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি,শালগম, ফরাশ, মুলা, লালশাক ও কাঁচা মরিচ।
সবজি চাষিদের সঙ্গে আলাপকালে জানাযায়, একটি টমেটো গাছে সর্বমোট ৩০-৩৫ টাকা খরচ হয়। আর প্রতি টমেটো গাছ থেকে পাওয়া যায় ৫-১০ কেজি টমেটো। মৌসুমের শুরুতে সবজি বিক্রি শুরু করতে পারায় খরচ পুষিয়ে গত বছরের চেয়েও বেশি টাকা আয় করা সম্ভব বলে মনে করছেন সবজি চাষিরা। চাষকৃত এসব সবজি সিলেট নগরীর বিভিন্ন আড়তে পাইকারি দামে বিক্রি হয়। অনেক সময় পাইকারি ব্যবসায়ীরা টাটকা সবজি কিনতে সরাসরি ক্ষেতে চলে যান। স্থানীয় বাজারে এ সবজির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কীটনাশকমুক্ত ও সার কম থাকায় সিলেটের বাইরের সবজি থেকে স্থানীয় এ সবজি সুস্বাদু।
উপজেলার শাহজিরগাও গ্রামের অবস্থানকারি মখবুল মিয়া সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, গত বছর শিম চাষ করে প্রায় এক লাখ টাকা আয় করেছেন। তিনি এবারও ৯০শতক জমিতে শিম চাষ করেছেন। ফলনও ভাল হবে। তিনি এবার গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ করতে পারবেন বলে আশাবাদী।
হরিপুর গ্রামের আবদুল খালিক সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, গত বছর ৩০ শতক জমিতে টমোটো চাষ করে ভাল ফলন হয়। এবছরও ওই জমিতে টমোটো চাষবাদ করি। ফলন ভাল হয়েছে। এ মাসের শেষের দিকে টমোটো বিক্রি শুরু করবেন বলে তিনি জানান।
উপজেলার কৃষি আলীনূর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, উপজেলায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এতে ভালন ফলনও হয়েছে। সব সময় এলাকার কৃষক ও সবজি চাষিদের পরার্মশ দিয়ে থাকি।
তিনি বলেন, প্রতি বছর বাড়ছে সবজি উৎপাদন। সবজি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা কৃষকদের দেয়া হচ্ছে। কৃষকরা মৌসুমী সবজির পাশাপাশি আগাম সবজি চাষ করেও লাভবান হচ্ছেন বলে তিনি জানান।