শিরোনাম:
●   বিনা প্রয়োজনে রেললাইন স্টেশন স্থাপনে অর্থ লুটপাট : রেল উপদেষ্টা ●   ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা নির্বাচন কমিশনের পবিত্র দায়িত্ব ●   গাজীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ●   ঘোড়াঘাটে কারাবরণকৃত নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপির মতবিনিময় ●   নবীগঞ্জে পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার ●   নতুন নির্বাচন কমিশন নাসির উদ্দীন ●   আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে দন্ত চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ রোগী ●   যমুনা রেলওয়ে সেতুর দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে : নির্মাণে ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় ●   ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক শামছুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা ●   মিরসরাইয়ে বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন ●   চুয়েটে রিসার্চ বেজড টিচিং-লার্নিং ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাদক ব্যাবসায়ী সহ গ্রেফতার-৫ ●   বঞ্চিত ৪ উপজেলার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ●   রাউজানে যে হাটে বিক্রি হয় মানুষ ●   ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের ৪৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটি গঠিত ●   নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস ●   মুক্তিপণ আদায়ের পর মিথ্যা মামলা, দিশেহারা প্রবাসী পরিবার ●   পাইন্দং সংঘারাম বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   ঈশ্বরগঞ্জে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার ●   চুয়েটে ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটি’র ৪৬তম সভা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে ব্রি ধান ৮৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত ●   কুষ্টিয়ায় ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় ধরা খেল শিক্ষক হেলাল ১১ লাখে দফারফা ●   শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠন সম্মাননা অর্জন করলো মিরসরাইয়ের দুর্বার প্রগতি সংগঠন ●   চুয়েটে শিমুল স্মৃতি আন্তঃঅনুষদ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু ●   ঈশ্বরগঞ্জে চোরাই মোটরসাইকেলসহ দুই চোর আটক ●   নবীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতিশ চন্দ্র দাসের পরলোকগম রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ●   বাজার নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান ●   রত্ন সাংবাদিকে ভূষিত হওয়াতে একেএম মকছুদ আহমেদকে সিএইচটি মিডিয়া পরিবারের অভিনন্দন
রাঙামাটি, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শুক্রবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » হাছিনা পাগলীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » হাছিনা পাগলীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ
শুক্রবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

হাছিনা পাগলীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ

---

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (২ পৌঁষ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩০মি.) একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলতেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন পাগলী। হাছিনা পাগলী। এ নামেই পরিচিত সবার কাছে। সেই যুদ্ধের সময় থেকেই। পাগলী হলেও অনেক মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ বাঁচিয়েছেন নানান কৌশলে। অনেক সময় পাকসেনাদের আসার খবর জানিয়ে। অনেকসময় নিজের নিরাপত্তা ও সম্ভ্রমের কথা না ভেবে।

ঝিনাইদহের মহেশপুরের যাদবপুর যুদ্ধে অংশে নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বাজারের মধ্যে থেকে ধরে নিয়ে এলেন পাগলীকে। বসালেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অফিসের বারান্দায়। বাজার সংলগ্ন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ক্যাম্পের সামনেই তার নিত্য আবাস। ঠিক পাশেই বেতনা নদী, যেখানে সংগঠিত হয়েছিল যাদবপুরের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। হাসিনা এ জায়গাটাতে থাকতেই পছন্দ করেন ৪৫ বছর ধরে।

পারিবারিক নানান কারণে যুদ্ধের আগ থেকেই হাসিনা ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। কাজে-কথায় সংগতি না থাকায় যাদবপুর বাজারের লোকজন তাকে হাছিনা পাগলী নামেই ডাকে। কমবেশি তাদেরই সাহায্য সহযোগিতায় বেঁচে আছেন পাগলী। সম্প্রতি তার জন্য বয়স্কভাতার ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।

পাগলীর হুঁশ না থাকলেও দেশের স্বাধীনতার কথা হয়তো তিনি বুঝতেন। না হলে কেনই বা মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাবেন! এখনও তিনি যাদবপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্রী। অনেকবার তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি উঠলেও বিভিন্ন কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি।

জিজ্ঞেস করতেই মুক্তিযুদ্ধের কথা, সায়েদকে বাঁচানোর চেষ্টার কথা অকপটে বলে কাঁদতে লাগলেন অঝোরে। উগরে দিলেন একরাশ কষ্ট। যুদ্ধের দিন ছিল মঙ্গলবার। ২২ সেপ্টেম্বর, নদীতীরবর্তী গ্রাম যাদবপুর। দক্ষিণে তিন কিলোমিটারের মতো এগোলেই ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রাম মধুপুর। এপারে গোপালপুর। পুবে ধান্যবাড়িয়া। মহেশপুর দিয়ে সর্পিল গতিতে এঁকেবেঁকে ভারতের বনগাঁয় ঢুকেছে বেতনা। যুদ্ধ হয় বেতনার দু’পারেই।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে যুদ্ধ। পাকিস্তানিদের চারদিক দিয়ে আক্রমণে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় মুক্তিবাহিনী। বেতনা নদীতীরের সেই দীর্ঘ যুদ্ধে প্রাণে বাঁচতে কচুরিপানা ভরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধা মো. সায়েদ আলী। মাথায় পরা ছিলো হেলমেট। হাতে ছিল এলএমজি। এলএমজিটি আগে ফেলে দেন পানিতে। তারপর ঝাঁপিয়ে পড়েন নিজে। কিন্তু রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা বিষয়টি বুঝতে পারে।

খোঁজ করতে থাকে সায়েদ আলীর। একপর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেয় পাগলী হাসিনাকে পানিতে নামিয়ে খোঁজার। কারণ ওই এলাকায় সবসময় পাওয়া যেত তাকে। পাগলীকে পানিতে নামিয়ে কেউ আছে কিনা খুঁজতে বলে। হাঁটুপানিতে নেমেই হাতড়ে সায়েদ আলীর মাথার ছোঁয়া পান পাগলী। তাৎক্ষণিক পাগলী তার পরনের সাদা ধুতির মতো শাড়ির নিচে লুকিয়ে ফেলেন সায়েদকে। বলেন, ‘এখানে কেউ নেই। তোমরা চলে যাও।’

কিন্তু পানির নড়চড়া দেখে সন্দেহ হয় রাজাকারদের। কিন্তু হাসিনা তাদের বোঝাতে থাকেন এখানে কেউ নেই। রাজাকাররা একটু সরে গেলে হাসিনাও উঠে পড়েন পানি থেকে। তখন সায়েদ ডুব দিয়ে দূরে সরে যাচ্ছিলেন।

এমন সময় রাজাকাররা আবার উঁকি দিয়ে দেখতে পায় সায়েদকে। গুলি করতে উদ্যত হলে সায়েদ হাত উঁচিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় তিনমাস। পরে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে মিত্রবাহিনী যখন বিমান হামলা শুরু করে তখন কারাগারে আটক অন্যদের মতো সায়েদও কারাগার ভেঙে মুক্ত হন।

পাগলী হাসিনা যেভাবে শাড়ির নিচে লুকিয়ে সায়েদকে প্রাণে বাঁচিয়ে দিলেন তা অনেকটা নোবেল সাহিত্য পুরস্কারজয়ী জার্মান ঔপন্যাসিক গ্যুন্টার গ্রাসের ধ্রুপদী উপন্যাস ‘টিন ড্রাম’ কাহিনির সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। সেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাহিনি বর্ণনা করতে গিয়ে গ্রাস নাৎসীদের তাড়া খাওয়া এক বিপন্ন ইহুদির কথা বলেছেন। যে মাঠের উপর দিয়ে পালাচ্ছিল। এসময় মাঠে একা একা আলু পুড়ে খাচ্ছিল এক পাগলী। সেও বুদ্ধি করে নিজের লম্বা গাউনের নিচে আশ্রয় দিয়ে ইহুদিকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল। ইহুদিটা পালিয়ে গেছে মনে করে ফিরে গিয়েছিল নাৎসী সেনারা।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই হাসিনা পাগলীকে নিয়মিত সাহায্য সহযোগিতা করেন বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী সায়েদ আলী। পাগলী তাকে দেখলে বলেন, ‘তুই আমার ছেলে নাহ!’একই যুদ্ধে পায়ে গুলি লেগে আহত হওয়া খলিলুর রহমান, মো. আব্দুর রহমানও জানেন সেদিনের ঘটনা। পাগলীকে তাই শ্রদ্ধা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তিযোদ্ধাদের ভাষ্যমতে, পাগলী ওইসময় নিয়মিত এ এলাকায় ঘুরে বেড়াতো। সবসময় থাকতো পথে ঘাটে। কখনও খবর দিতো পাকিস্তানিরা আসছে বলে। আর গুলির খোসা কুড়ানো ছিল তার কাজ। ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করতেন। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার, যুদ্ধের সময় এতো গোলাগুলি তার আশপাশ দিয়ে চলে গেছে, তবু সেসব তার গা ভেদ করেনি।





খুলনা বিভাগ এর আরও খবর

কুষ্টিয়ায় ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় ধরা খেল শিক্ষক হেলাল ১১ লাখে দফারফা কুষ্টিয়ায় ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় ধরা খেল শিক্ষক হেলাল ১১ লাখে দফারফা
চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা আব্দুর রশিদ কুষ্টিয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা আব্দুর রশিদ কুষ্টিয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার
কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭তম জন্মদিনের উদ্বোধন কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭তম জন্মদিনের উদ্বোধন
কুষ্টিয়ায় সেশন ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ কুষ্টিয়ায় সেশন ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ
বিজিবির অভিযানে অস্ত্র মাদকসহ চার জন আটক বিজিবির অভিযানে অস্ত্র মাদকসহ চার জন আটক
কুষ্টিয়াতে আাধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা কুষ্টিয়াতে আাধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজের ৩৪ ঘণ্টা পর এএসআই সদরুলের মরদেহ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজের ৩৪ ঘণ্টা পর এএসআই সদরুলের মরদেহ উদ্ধার
কুষ্টিয়া পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ২ পুলিশ সদস্য নিখোঁজ কুষ্টিয়া পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ২ পুলিশ সদস্য নিখোঁজ
মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার অপকর্ম ঢাকতে বিএনপির নামে মিথ্যাচার মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার অপকর্ম ঢাকতে বিএনপির নামে মিথ্যাচার
বিএনপি’র টিকিট পেতে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার শেখ সাদী বিএনপি’র টিকিট পেতে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার শেখ সাদী

আর্কাইভ