মঙ্গলবার ● ১০ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » চাটমোহরের বন্ধন ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় রোগির মৃৃত্যু
চাটমোহরের বন্ধন ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় রোগির মৃৃত্যু
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: (২৭ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩৪মি.) পাবনার চাটমোহর পৌরসভার পার্শ্ববর্তী ভাদুনগর এলাকায় অবস্থিত বন্ধন ক্লিনিকে মঙ্গলবার ভূল চিকিৎসায় এক রোগির মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, চাটমোহরের আনকুটিয়া পশ্চিম পাড়ার কেশমত আলীর সন্তান সম্ভবা মেয়ে, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার তালশু গ্রামের রুবেলের স্ত্রী খুশি খাতুন (২৫) কে চেকআপের জন্য মঙ্গলবার বন্ধন ক্লিনিকে নিয়ে আসে স্বজনরা। সন্তান প্রসবের সময় নিকটবর্তী হওয়ায় উক্ত ক্লিনিকে মেয়েটির অস্ত্রপোচার করা হয়। সন্তান প্রসবের পর পরই অপারেশন টেবিলে খুশীর মৃত্যু হয়।
ভূল চিকিৎসায় একমাত্র মেয়ে খুশীর অকাল মৃৃত্যু প্রসঙ্গে তার মা হালিমা খাতুন জানান, “সুস্থ অবস্থায় আমার মেয়েকে মঙ্গলবার চেকআপের জন্য ডাঃ আব্দুল মজিদের মালিকানাধীন বন্ধন ক্লিনিকে নিয়ে আসি। মেয়েটিকে দেখে শুনে ডাঃ আব্দুল মজিদ জানান, খুশীর শরীরে পানি শূণ্যতা রয়েছে। সন্তান থলী পানি শুন্য হয়ে পরেছে। সিজার করাতে হবে। প্রসব বেদনা না উঠলেও খুশীর সিজার করে। সিজারের পর পরই তার মৃত্যু হয়। এখন মজিদ ডাক্তার বলছে হার্ট এ্যাটাকে আমার মেয়ে মারা গেছে। আমার মেয়ের হার্টের কোন সমস্যাই ছিলনা”।
ক্লিনিকটির মালিক ডাক্তার আব্দুল মজিদ জানান, এ্যনেসথেসিয়া ডাঃ আব্দুস সাত্তার মেয়েটিকে অজ্ঞান করে এবং সার্র্জন ডাঃ মাজেদ অস্ত্রপোচার করে। সন্তানটিকে খালাস করার পর পরই হার্ট এ্যাটাকে খুশীর মৃত্যু হয়।
তবে ক্লিনিকটির কোথাও ডাঃ আব্দুস সাত্তার ও ডাঃ আব্দুল মাজেদকে পাওয়া যায় নি।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ভূল চিকিৎসায় খুশির মৃত্যুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পরলে শত শত মানুষ ক্লিনিক টিতে ভীড় জমায়। এসময় খুশীকে অপারেশন থিয়েটারে রাখা হয়। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে রোগির স্বজনদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। সূত্র মতে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে রোগির স্বজনদের সাথে আপোষ মিমাংসা করা হয়।
আপোষ মিমাংসার পূর্বে ভূল চিকিৎসায় খুশীর মা ও স্বামী এ মৃত্যুর জন্য ক্লিনিক কতৃৃপক্ষকে দায়ী করে বিচার দাবী করলেও আপোষ মিমাংসার পর খুশীর শ্বশুর সবাইকে জানায় এ ব্যাপারে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন দাবী দাওয়া নেই। সন্ধ্যার পর খুশীর লাশ নিয়ে তারা চলে যায়।
এ ব্যাপারে এলাকাবসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।