সোমবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহরে ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে কাঠের সাঁকো
চাটমোহরে ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে কাঠের সাঁকো
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: (৩মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৩৫মি.) চাটমোহর পৌর সদর ও পার্শ্ববর্তী বিলচলন ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মৃৃত প্রায় বড়াল নদীর উপরে এলাকাবাসীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে ৯০ ফিট দৈর্ঘ্যরে কাঁঠের সেতু। দশ ফুট চওড়া এ সেতুটি নির্র্মাণে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। পূর্বে নদীটির এ স্থলে ক্রস বাঁধ দেয়া ছিল। মৃৃত প্রায় বড়াল নদী চালুর উদ্যোগে বড়াল রক্ষা কমিটি দীর্র্ঘদিন যাবত আন্দোলন সংগ্রাম করে আসার প্রেক্ষিতে বড়াল নদী চলমান করতে এ স্থানের ক্রস বাঁধ মাস তিনেক পূর্বে কেটে দেয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় এ রুটের যানবাহন চলাচল। তখন থেকে নদীর উত্তর পাড়ের কুমার গাড়া গ্রামবাসীসহ আশপাশ এলাকার মানুষের ভোগান্তি শুরু হয়। এ এলাকার স্কুল কলেজ গামী ছাত্র ছাত্রীসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে কষ্ট করে পূর্ব পাশের জার্র্দিস মোড়ে নির্র্মিত সেতু ঘুড়ে অথবা পশিমের বোঁথর ঘাট হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। পূর্বের জনবহুল এ রাস্তাটির পাশে গড়ে ওঠা দোকান পাটের বেচা কেনায় ও এর বিরুপ প্রভাব পরে। ফলে এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে এ সেতু নির্মাণ শুরু করে।
কুমারগাড়া গ্রামের ফজলুল হক সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, ক্রস বাঁধটি কেটে ফেলার ফলে আমরা চরম বেকায়দায় পরেছি। দোকান পাটের বেঁচা কেনা কমে গেছে, এলাকার ছাত্র ছাত্রী শিশু বৃদ্ধ বৃদ্ধা রোগিসহ সব শ্রেনীর মানুষকে দূর্র্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাবনা-৩ এলাকার এমপি আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন, চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হিরা, চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম শেহেলী লায়লা, পৌর মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল কাঠের সেতু নির্মাণের স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। আমরা চাই এখানে স্থায়ী ভাবে ব্রীজ নির্মাণ করা হোক।
সেতু নির্মাণ কমিটির সদস্য সুবল চন্দ্র হালদার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, এলাকাবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে আমরা এ সেতু নির্মানের কাজ শুরু করি। প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হবে এ সেতু নির্মাণে। এলাকাবাসী ও দোকান দাররা মিলে তিন লাখ টাকার মতো সংগ্রহ করছি। এমপি মহোদয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পৌর মেয়র পঞ্চাশ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। আমরা চাই এখানে অনতিবিলম্বে ব্রীজ নির্মাণ করা হোক।
জাবরকোল গ্রামের মোজাম্মেল হক, ছাদেক আলী, চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বিদ্যুৎসহ অনেকে জানান, জার্দিস মোড় থেকে হান্ডিয়াল হয়ে মান্নান নগর সড়কটি পুরোদমে চালু হলে সেটি অনেক ব্যস্ত রাস্তায় পরিণত হবে। এখানে একটি স্থায়ী ব্রীজ নির্মিত হলে কুমারগাড়া গ্রামবাসীসহ সবাই উপকৃত হবে। আশাকরি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন।