শনিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঈশ্বরদীতে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত বাল্য বিবাহ রেজিষ্ট্রি করা হচ্ছে
ঈশ্বরদীতে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত বাল্য বিবাহ রেজিষ্ট্রি করা হচ্ছে
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (৮ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.২৩মি.) ঈশ্বরদীর বিভিন্ন ইউনিয়নে নিকাহ রেজিষ্টাররা অতিরিক্ত টাকা আয়ের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত বাল্য বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে যাচ্ছেন। চলতি জানুয়ারি মাসে দু’জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে ১৫ তারিখে মিরকামারি মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর ছাত্রী নুপুর খাতুনের বিয়ে রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। ১৮ তারিখে রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে দাশুড়িয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সাথী খাতুনের। এরা দু’জনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে মিরকামারী আদর্শ আলিম মাদ্রাসার প্রধান ও ছলিমপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্টার আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে এ নিকাহ রেজিষ্ট্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় । ঈশ্বরদী পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের জন্য নিয়োগকৃত কতিপয় নিকাহ রেজিষ্টাররা বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে আসা নাবালিকা মেয়েদের বিয়ে রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছেন। সবগুলো রেজিষ্ট্রিই প্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়ে করানো হয়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে জ্বাল বই ও খাতাপত্র এবং সীল ব্যবহার করে রেজিষ্ট্রিকাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন দু’একটি নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করতে পারলেও অসৎ নিকাহ রেজিষ্টার ও ভুক্তভোগী অভিভাবকদের অসচেতনার কারণে বাল্য বিবাহ বন্ধ হচ্ছেনা।
মিরকামারী আলিম মাদ্রাসার প্রধান ও নিকাহ রেজিষ্টার আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন আমি নুপুর ও সাথীর বিয়ে রেজিষ্ট্রি করিনাই। ষড়যন্ত্র করে কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারে।