মঙ্গলবার ● ২৪ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » মহলছড়িতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলা ঘটনায় রাঙামাটিতে ৩ সংগঠন যৌথভাবে প্রতিবাদ সভা
মহলছড়িতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলা ঘটনায় রাঙামাটিতে ৩ সংগঠন যৌথভাবে প্রতিবাদ সভা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: রাঙামাটি জেলা কমিটির পার্বত্য শ্রমিক পরিষদ এর সভাপতি মো. রাসেল ইসলাম সাগর ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিকদার যৌথভাবে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এ প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২৩ জানুয়ারি ভোরে রাঙামাটি টু খাগড়াছড়ি সড়কে মহলছড়ি বাজারে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো আসার পথে মহলছড়ি ফরেষ্ট অফিসের পাশে আসলে, দাবীকৃত চাঁদা না পাওয়ার কারণে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত ভাবে গুলি বর্ষণ করে ট্রাক গুলোকে আটক করেন।
পরে তারা ট্রাক চালকদেরকে অমানবিক নিয়ার্তন করে তাতেও তারা ক্ষেন্ত হয়নি। ট্রাক গুলোকে পণ্য সহ আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে সম্পূর্ন ট্র্রাক পণ্য সহ পুড়ে যায়। যার ফলে আনুমানিক প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
এই নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে ২৪শে জানুয়ারি মঙ্গলবার ১১ টায় কাঠালতলী শফি মার্কেট, পার্বত্য গণ পরিষদের জেলা কার্যালয়ে ৩ সংগঠন যৌথভাবে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য শ্রমিক পরিষদের জেলা সভাপতি মো. রাসেল ইসলাম সাগর।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য গণ পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. পারভেজ তালুকদার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য গণ পরিষদের জেলা সভাপতি মো. আব্দুল খালেক, পার্বত্য ছাত্র ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রিগ্যান, পার্বত্য ছাত্র ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিকদার, পার্বত্য শ্রমিক পরিষদের জেলা সাধারন সম্পাদক বিশ্বজিৎ সেন ও জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম সহ ৩ সংগঠনের আরো নেতা কর্মীগণ।
সভায় প্রধান অতিথি পার্বত্য গণ পরিষদের জেলা সভাপতি, পার্বত্য ছাত্র ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি ও পার্বত্য শ্রমিক পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
পার্বত্য গণপরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ত্র্যাডভোকেট মো. পারভেজ তালুকদার বলেন, আজ এ সময়ের প্রেক্ষাপটে আমরা বাঙ্গালীরা কত অনিরাপত্তায় জীবন যাপন করতেছি। তার স্বাক্ষ্য প্রমাণ বারবার বাঙ্গালীদের উপর নির্বিচারে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা হামলা করছে। যার জন্য আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। এতে প্রশাসন কেন নিরব ভূমিকা পালন করছেন ? রাঙামাটির মহলছড়িতে এ ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও জাতির পক্ষ হয়ে আমরা জানতে চাই।
তিনি আরো বলেন অবিলম্বে মহলছড়িতে পণ্যবাহী ট্রাক পুড়ানোর মত নারকীয় ঘটনার মূল হামলা কারীদের গ্রেফতার করা না হলে আমরা পার্বত্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দিতে বাধ্য হব।
প্রতিবাদ সভার ও পার্বত্য শ্রমিক পরিষদের জেলা সভাপতি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন যে, আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়, প্রশাসনের উর্ধ্বে সন্ত্রাস নয়। তাহলে আজ কেন আমরা এত অনিরপত্তায় দিনযাপন করছি ? প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাই, মহলছড়িতে পণ্য বাহী ট্রাক পুড়িয়ে ফেলা সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হব। প্রতিবাদ সভায় তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভা সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
তাদের সংগঠনের দাবি সমূহ : ১. পার্বত্য জেলা সন্ত্রাস মুক্ত করতে হবে।
২. অবৈধ অস্ত্র ও চাদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ৩. মহলছড়িতে ট্রাক পুড়ানোর মত নারকীয় ঘটনার সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে।