রবিবার ● ২৯ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » কালীগঞ্জে কন্যা সন্তান হত্যার অভিযোগে পিতা গ্রেফতার
কালীগঞ্জে কন্যা সন্তান হত্যার অভিযোগে পিতা গ্রেফতার
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরের কালীগঞ্জে দেড় বছরের কন্যা সন্তানকে বিষ খাইয়ে নির্মম ভাবে হত্যার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন (২৭) নামের এক পাষন্ড বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আটকের পর আসামী নিজে তার স্বীকারোক্তিতে সন্তান মরিময়কে বিষ খাইয়ে নির্মম ভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মাওলা।
২৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের তেরমুখ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সাদ্দাম উপজেলার পানজোড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলেকের ছেলে। পরে শনিবার দুপুরে তাকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী ও নিহত শিশুর মা রাজিয়া খাতুন (২৩) সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, বছরে তিনেক আগে পারিবারিকভাবে সাদ্দামের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সংসারে অশান্তি লেগেছিল। মাঝে মাঝে সাদ্দাম আমাকে শারীরিক নির্যাতন করতো।
এরই মধ্যে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জম্মের পর স্বামীর নির্যাতনের ভয়াবহতা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মুখ বুঝে সব সহ্য করি।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মেয়েকে বাইরে নিয়ে যায় সাদ্দাম। পরেরদিন স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমার শ্বশুর বাড়ির জঙ্গল থেকে মরিয়মকে উদ্ধার করা হয়। পরে টঙ্গীর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মরিয়মকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ বাড়ীতে নিয়ে আসলে থানা পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল শেষে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় শনিবার নিহত শিশুর মা রাজিয়া খাতুন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা (নং ১৪) করেন।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলম চাঁদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, ঘটনার পর থেকে সাদ্দাম পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার নাগরী ইউনিয়নের তেরমুখ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়।
তিনি আরো জানান, সাদ্দাম সন্তান মরিময়কে বিষ খাইয়ে হত্যার করেছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।