রবিবার ● ২৯ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বিলাইছড়িতে ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠবার্ষিকী পালিত
বিলাইছড়িতে ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠবার্ষিকী পালিত
বিলাইছড়ি প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিলাইছড়ি উপজেলা শাখার উদ্দ্যেগে বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২৮জানুয়ারী শনিবার ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিলাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি সৈকত দাশ রুবেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মো: মুছা মাতব্বর, বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চংগ্যা, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিলাইছড়ি উপজেলা শাখা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য জয়সেন তঞ্চংগ্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অরুন বিকাশ চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: শাহিদুল ইসলাম সাইদুল বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা।
এ সময় বিলাইছড়ি উপজেলার আওয়ামীলীগ ও সকল অংগসংগঠন এবং সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দগন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিলাইছড়ি ছাত্রলীগ নেতা ঊষামং মারমা।
এ উপলক্ষে সকালে সকালে বর্ণাঢ্য র্যালী, জাতীয় সংগীতের মধ্যে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, শান্তির পায়রা কবুতর ওরানোর মধ্যেদিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও ছাত্রলীগের দলীয় সংগীত, নৃত্য পরিবেশনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। পরে ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আহ্বায়ক নারায়ন ঘোষ অতিথিদের বেইজ পরিয়ে বরণ করে। পরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন শেষে আলোচনা সভা ও সকল মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নিরবতা পালন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, দেশ ও জনগনের প্রয়োজনে ১৯৪৮ সালে অঙ্কুরিত বীজ হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শিক্ষা শান্তি আর প্রগতির মশাল নিয়ে জাতীয় সব সংকটে সংগ্রামে ও সম্ভাবনায় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আজ ৬৯ তম জন্মবার্ষিকীতে সুবিস্তীর্ন মহীরুহে পরিনত হয়েছে। আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঐতিহ্যবাহী পতাকাতলে লাখো লাখো তরুন প্রান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীকার ও স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নিজ হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ। তিনি তার সোনার বাংলা বিনির্মানের সুদক্ষ কর্মী গড়ার পাঠশালা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি সকল ছাত্রলীগ কর্মীর উদ্দ্যেশ্য সু-পরামর্শ ও সুযোগ্য, শিক্ষিত হবার দিকনির্দেশনা দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাজী মো: মুছা মাতব্বর বলেন, প্রত্যেকটি নেতা কর্মীকে সুদক্ষ হতে হবে ও সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেখানে অন্যায় দেখবে সেখানে প্রতিবাদী হতে হবে সকল ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক প্রকাশ চাকমা বলেন, যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। প্রত্যেক ছাত্রলীগ কর্মী যত শিক্ষিত হবে তত ছাত্রলীগ সংগঠন আরো মজবুত হবে। দুর্গম বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকা ভার্সিটিতে যে সকল ছাত্রলীগ পড়া লেখা করেছে ও অধ্যায়নরত আছেন তার জন্য সে অত্যন্ত আনন্দ বোধ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা সাবেক সাধারন সম্পাদক মো: শাহিদুল ইসলাম সাইদুল বলেন, তৃনমুল থেকে সকল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং তার জন্য ছাত্রলীগ কর্মীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তিনি বলেন, শুধু শিক্ষায় নয় ছাত্রলীগকে হতে হবে সুদক্ষ কর্র্মীও।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আহ্বায়ক সৈকত দাশ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে পাহাড়ি বাঙ্গালি ঐক্যের প্রতিক জননেতা দীপংকর তালুকদারের হাতকে শক্তিশালি করতে এবং অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে, দেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এই হোক আমাদের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর শপথ।