শিরোনাম:
●   রাঙমাটি জেলা পরিষদে থেকে আওয়ামীপন্থী সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করার দাবীতে মানববন্ধন ●   ঈশান তালুকদার মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে গুরু আচারিয পূজা ও সংঘদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   নবীগঞ্জে মোবাইল চুরির হিড়িক ●   বাংলাদেশ রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিক কারখানায় জনবল সংকট ●   সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যু বার্ষিকীতে মানুষের ঢল ●   মিরসরাইয়ে শান্তিনীড় বৃত্তি পেলো ১১৫ জন শিক্ষার্থী ●   বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই : পার্বত্য উপদেষ্টা ●   বিনা প্রয়োজনে রেললাইন স্টেশন স্থাপনে অর্থ লুটপাট : রেল উপদেষ্টা ●   ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা নির্বাচন কমিশনের পবিত্র দায়িত্ব ●   গাজীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ●   ঘোড়াঘাটে কারাবরণকৃত নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপির মতবিনিময় ●   নবীগঞ্জে পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার ●   নতুন নির্বাচন কমিশন নাসির উদ্দীন ●   আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে দন্ত চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ রোগী ●   যমুনা রেলওয়ে সেতুর দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে : নির্মাণে ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় ●   ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক শামছুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা ●   মিরসরাইয়ে বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন ●   চুয়েটে রিসার্চ বেজড টিচিং-লার্নিং ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাদক ব্যাবসায়ী সহ গ্রেফতার-৫ ●   বঞ্চিত ৪ উপজেলার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ●   রাউজানে যে হাটে বিক্রি হয় মানুষ ●   ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের ৪৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটি গঠিত ●   নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস ●   মুক্তিপণ আদায়ের পর মিথ্যা মামলা, দিশেহারা প্রবাসী পরিবার ●   পাইন্দং সংঘারাম বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   ঈশ্বরগঞ্জে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার ●   চুয়েটে ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটি’র ৪৬তম সভা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে ব্রি ধান ৮৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
রাঙামাটি, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ৩১ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » কালের স্বাক্ষী প্রিয় বিদ্যাপীঠ নবীগঞ্জ যোগল-কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » কালের স্বাক্ষী প্রিয় বিদ্যাপীঠ নবীগঞ্জ যোগল-কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়
মঙ্গলবার ● ৩১ জানুয়ারী ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কালের স্বাক্ষী প্রিয় বিদ্যাপীঠ নবীগঞ্জ যোগল-কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়

---

(১৮ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: ৩১ জানুয়ারি ২০১৭: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.০৫মি.) স্মৃতির বিদ্যাপীঠ নবীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান কালের স্বাক্ষী নবীগঞ্জ যোগল-কিশোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। যে প্রতিষ্টান ১৯১৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে ২০১৬ সালে শতবছরে দেশের বিভিন্ন  স্তরে সমহিমায় প্রতিষ্টিত কত জ্ঞানীগুনী লোকের জন্ম দিয়েছে । ১৮ই মার্চ ২০১৬ ইং এ শিক্ষা প্রতিষ্টানের শতবর্ষ পুর্তি উৎসব অনুষ্টিত হয়েছে। তাই উৎসবের আমেজে যেন সেজেছে নবীগঞ্জের সবচেয়ে প্রাচীন এ বিদ্যাপীঠ।
‘দিনগুলো মোর সোনার খাচায় রইল না, সে যে আমার নানান রঙ্গের দিনগুলো’ কবিগুরুর এ আহবান যেন আজ চিরস্মরনীয়। সময়ের পালা বদলের সাথে সাথে মানুষের জীবনের ঘড়ি পরিবর্তন হলেও এমন কিছু স্মৃতি আছে যা মানুষকে আরো অতীতের স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। প্রত্যেক মানুষের জীবনেই কিছু স্মৃতিময় মুহুর্ত বা ঘটনা বিদ্যমান থাকে । সেটা হতে পারে শৈশব জীবনে, হতে পারে ব্যক্তি জীবনে, হতে পারে স্কুল-কলেজ জীবনে, হতে পারে শিক্ষা গ্রহনের দ্বিতীয় বিদ্যাপীঠ হাইস্কুল জীবনে। আমার স্মৃতিময় সেই বিদ্যাপীঠ যাকে ঘিরে আমার জীবনের উচ্চ শিক্ষার সুদূর প্রসারী স্বপ্ন, চিন্তা-চেতনা ও ভবিষৎত পরিকল্পনার মহা সমন্বয় পরিবেষ্টিত নবীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান যোগল-কিশোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।
যে শিক্ষা প্রতিষ্টান দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোর একটি । প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষা শেষ করার আগেই স্বপ্ন দেখতাম সেই স্মৃতির বিদ্যাপীঠে জে,কে স্কুলে পড়াশোনা করার। যেই ভাবা সেই কাজ ১৯৮৯ সালে প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে প্রাইমারী সেন্টার পরীক্ষা শেষ করেই ১৯৯০ সালে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে হাইস্কুল জীবনের শিক্ষা অর্জন করার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ভর্তি হই যোগল-কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ে। ভর্তির সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন মোঃ আলা উদ্দিন স্যার। তৎকালীন সময়ে এ সেকশনে ভাল ছাত্ররা ভর্তি হত বেশী। আমারও ইচ্ছা ছিল ভাল/মেধাবী ছাত্রদের সাথে পড়াশোনা করার । যেই ভাবা সেই কাজ। খুব সইজেই আমার সেই ইচ্ছা পূরন হলো। এ সেকশনে ভর্তি হয়ে ভালই চলছে হাইস্কুল জীবনের রঙ্গীন দিনগুলো। ভর্তির প্রথম থেকেই ক্লাশে মনোযোগী হওয়ার জন্য ক্লাশের প্রথম বা দ্বিতীয় বেঞ্চে বসতাম। কিছুদিন যেতে না যেতেই ঘটে গেল ব্যতিক্রমধর্মী এক ঘটনা। একদিন সকালবেলা স্কুলে এসে বই রেখে মধ্য বাজারে আমাদের দোকানে গেলাম ক্লাশ শুরু হওয়ার আগেই এসে দেখি আমার বই প্রথম বেঞ্চ থেকে কয়েক বেঞ্চ পিছনে রাখা। আমার বই যে জায়গায় রাখছিলাম সেই জায়গায় মিজান নামের এক সহপাঠীর বই রাখা। জানতে চাইলে সে বলে ফিছনে রাখছি তো কি হইছে। নিজের রাগ আর সামলাতে পারলাম না। হাতে থাকা কলম দিয়ে আঘাত করে তাকে রক্তাক্ত করে দিয়ে আমার বই আবার প্রথম বেঞ্চে নিয়ে আসলাম। ভর্তির পর থেকে শুধু এ বিদ্যালয়ের গরম স্যার কৃষ্ণ স্যারের কথা শোনে আসছিলাম। তিনি আমাদের ৬ষ্ট শ্রেনীর গণিত ক্লাশ নিতেন। তিনি এত গরম স্যার ছিলেন যে স্কুলের বারান্দা দিয়ে হেঁটে গেলে কোন শিক্ষার্থী আর ডরে রুমের বাহিরে থাকত না,এমনকি কোন অপরাধের জন্য বা শয়তানির জন্য একবার তাঁর শাস্তি পেলে আর দ্বিতীয় বার অপরাধ করার সাহস পাইত না । মনে মনে ভাবছিলাম সহপাঠীকে মারার শাস্তি এবার আমার উপর । আর সেই বিচারটাও করবেন কৃষ্ণ স্যার সেটাই ছিল মনের অগ্রিম ধারনা। যেই ভাবা সেই কাজ আহত সহপাঠী কেঁদে কেঁদে গিয়ে শিক্ষক মিলানায়তনে বিচার প্রার্থী হল। একবার ভাবছিলাম ক্লাশ না করে বাড়ীতে পালিয়ে যাব। কিন্তু আবার ভাবলাম কতদিন পালিয়ে থাকব। স্কুলে তো আসতেই হবে। তাই পারানো আর হলো না। এবার বিচারের পালা। চকিদার দিয়ে খোজ করানো হলো ৬ষ্ট শ্রেনীর এ সেকশনের উত্তম কুমারকে। প্রথমে যদিও যেতে চাইনি, চকিদার বলে না গিয়ে উপায় নেই। শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে। যাই হইক শেষ পর্যন্ত গেলাম শিক্ষক মিলানায়তনে। সেখানে বসা প্রায় ১০/১২ জন শিক্ষক। বিচারের ভার কৃষ্ণ স্যারের উপরই পড়ল। স্যার কোন কথা না বলেই আমাকে নিল ডাউন হতে বললেন মানে হাটু গালা দিয়ে মাটিতে বসা। কথামত তা করলাম, পরে ৩/৪ টি জালিবেত হাতে নিয়ে স্যার আমার দিকে ছুটে আসতে দেখেই হাত-পা যেন ঠান্ড হয়ে গেল আর কাপতে শুরু করল। জালিবেত গুলো একত্রিত করে স্যার পিঠাতে শুরু করলেন। হাত-পা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থান একেবারে রক্ততাক্ত হয়ে গেল। বিদ্যালয়ের মাঠে ও জানালার ফাঁক দিয়ে উৎসুক শিক্ষার্থী শাস্তির নমুনা উপভোগ করলো সবাই।এতদিন শুধু শোনছিলাম কৃষ্ণ স্যারের শাস্তি । এবার নিজেই বুঝলাম কৃষ্ণ স্যারের শাস্তি কারে কয়! আমি ভর্তির শুরুতে চারু বাবু স্যারের নাম শোনলেও তাঁর অসুস্থতার কারনে আর আমরা ক্লাশে উনাকে পাইনি। গণিতের আরেক স্যার সনৎ কুমার দাশের নাম ও স্মৃতি ভরে স্মরন করতে হয়। তিনি প্রতিদিন ক্লাসে দুইবার নাম ডাকতেন অর্থ্যাৎ ২ বার রোলকল করতেন। কারন হাফ টাইমের সময় অনেক শিক্ষার্থী বাড়ীতে চলে যেত। তাই তিনি বিকালে শিফটে নাম ডেকে লাল কালি দিয়ে চিহ্ন দিয়ে রাখতেন। আর পরদিন দিতেন তার শাস্তি। পরদিন বিদ্যালয়ে আসার পর কোন ছাত্র যদি সেই লাল কালির দাগের চিহ্নে থাকতো ,তাকে রোল কল করার সময় দাড় করিয়ে রাখতেন। পরে তার কাছে গিয়ে বাড়ী জিজ্ঞেস করতেন। যদি কেই বাড়ী অন্য গ্রামে বলত তখন তিনি রেগে গিয়ে তার পিঠে জোরে জোরে থাপ্পর দিতেন আর বলতের বলতেন ,কও বাড়ী তিমিরপুর। এসব স্মৃতি আজ শুধুই হৃদয়ে দোলা দেয়। এছাড়া প্রশান্ত স্যার, মতিন স্যার, সিরাজ স্যার, কৃপাসিন্ধু স্যার, মাহবুব স্যার, মৌলানা সিরাজ স্যার, পন্ডিত স্যার। একেক স্যারের যেন একেক রকম বৈশিষ্ট ছিল বিদ্যালয়ের পাঠদানে। দেখতে দেখতে উঠে গেলাম ক্লাশ নাইনে। জীবনে কমার্স পড়ার স্বপ্ন থাকায় নিলাম বানিজ্য গণিত। রেজিষ্টেশন ও করলাম সেই মোতাবেক। উদ্দেশ্য ছিল ভাল রেজাল্ট করার তাই ভাল ছাত্রদের সাথে বেশী মিশতাম। ফাষ্টবয় ছিল সাইফুর। এছাড়া শুভাশীষ,উজ্বল,সুদীপ,রুবেল,জাবেদ,তোফায়েলসহ আরো অনেকেই ছিল ভাল ছাত্রের তালিকায়। প্রথম দিকে আমি অংকে কিছুটা দুর্বল থাকলেও লেটার পাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে আস্তে আস্তে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। একদিন শুভাশীষকে একটি অংক দেখানোর জন্য ডাক দিয়েছিলাম কিন্তু সে ব্যস্থতা দেখিয়ে চলে গেল। সেই দিন থেকে জেদ আরে রেড়ে গেল। প্রাইভেট শিক্ষক গোপাল স্যারের আশ্রয় নিলাম। টার্গেট ৩ মাস প্রাইভেট পড়ে অংকের কোর্স শেষ করে লেটার মার্ক পাওয়া। যেই ভাবা সেই কাজ। তখনকার সময়ে নির্দিষ্ট সিলেবাস থাকায় অংক গুলো করতে করতে একরকম মুখস্থ হয়ে যেত। ১৯৯৫ সালে টার্গেট মতে পরীক্ষাও দেওয়া হলো ভাল। আশাবাদী ছিলাম অংকে লেটার মার্কসহ ফাষ্ট ডিভিশন পাব। ৩ মাস পর যখন রেজাল্ট হবে মনে তখন যেন কি অজানা আতংক দেখা দিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টার্গেট ঠিতই থাকল অংকে,ধর্ম ও বানিজ্য গণিতে লেটারসহ ফাষ্ট ডিভিশন পেলান ঠিকই। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্যি যে সহপাঠী শুভাশীষ কিন্তু অংকে লেটার পায় নাই। যাই হোক উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে হাইস্কুল জীবন শেষ করে নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে বানিজ্য বিষয়ে ভর্তি হই। পরবর্তীতে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে অর্নাস,মাষ্টারর্স শেষ করে আজ কর্ম জীবনে সরকারী চাকুরীতে কর্মরত। হাইস্কুল জীবন শেষ করে আমাদের জানামতে পূর্বের কোন ব্যাচ পুর্নমিলণী পর্ব না করলেও আমাদের ’৯৫ ব্যাচটা সংগঠিত থাকার কারনে ২০০৩ সালে আমরা নবীগঞ্জ জে,কে উচ্চ বিদ্যালয়ে আমাদের ব্যাচের রি-ইউনিয়ন বেশ জাকজমকভাবেই করেছিলাম। কিন্তু এরই মধ্যে অনেক বন্ধু-বান্ধব কর্ম সংস্থানে ও প্রয়োজনের টানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে গেল। অনেকে আবার স্বপ্নের জীবন গড়তে পাড়ি জমায় বিদেশেও।
কাংখিত শিক্ষা প্রতিষ্টান ছেড়ে চলে যেতে মন না চাইলেও কি আর সেই প্রতিষ্টানে ছাত্রত্ব ধরে রাখা যায়। তখন কবিগুরুর কথায় আবারো যেন সবাই সুর মিলাতে হলো ‘ যেতে নাহি দিব হায়,তবু যেতে দিতে হয়,তবু চলে যায়’। ছাত্র জীবনের শুরু থেকে আলা উদ্দন স্যারকে প্রতিষ্টান প্রধান হিসাবে পেলে ও পরবর্তীতে হাফিজুর রহমান খাঁন দিলু, রথীন্দ্র লাল দে, এবং সর্বশেষ বর্তমানে যিনি প্রতিষ্টান প্রধান হিসাবে আসীন জনাব মোঃ আব্দুস সালাম এর আন্তরিক নেতৃত্বে এ শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষার মান দিন দিন অগ্রগতি হয়ে চলছে। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী সেই প্রতিষ্টান থেকে জ্ঞান অর্জন করে দেশের শীর্ষ পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেৃতৃত্বদানকারী কত জ্ঞানীগুনী যে সমহিমায় প্রতিষ্টিত হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্টানের মর্যাদাকে আরো সমুন্নত করেছেন তার কোন ইয়াত্তা নেই। আজ বিদ্যালয়ের দাতা পরিবার আমার গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রাম আদিত্যপুরের বাসিন্ধা শ্রদ্ধেয় যোগল-কিশোর ও উনাদের পরিবার বর্গ এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টার জন্য ভূমি দিয়েছিলেন বলেই সেখান থেকে আমি শিক্ষা অর্জন করতে পেরেছি। তাই আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি যে লক্ষ্যে ও প্রত্যাশা নিয়ে প্রাণের সেই প্রিয় বিদ্যাপীঠে মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করতে ভর্তি হয়েছিলাম সেই ইচ্ছা আমার পূর্ন হয়েছে সঠিকভাবেই। কিন্তু তবুও যেন বার বার মনে হচ্ছে যে আরো কিছুদিন যদি সেখানে অধ্যয়ন করে কাটানো যেত তাহলে নিজেকে আরো বেশী ধন্য মনে হতো। তবুও এ প্রতিষ্টানের স্মৃতি সহজে ভুলা যাবে না। সেদিন মুখে উচ্চারিত হয়েছিল,

তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু,আর আমি জাগিব না,
কোলাহল করি সারা দিন মান,কারো ধ্যান ভাঙ্গব না।

আজকের যারা এ স্বনামধন্য প্রতিষ্টানে বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী তারাও একদিন কোর্স শেষ করে চলে যেতে হবে এ প্রতিষ্টান ছেড়ে। কিন্তু স্মৃতি তো আর ইচ্ছা করলেই মনের অতল গহিন থেকে বিদায় দিতে পারবে না। কারন যে প্রতিষ্টান উচ্চ শিক্ষার পথ দেখায় সে প্রতিষ্টানের প্রতিটি মুহুতই জীবনের অবিস্মরনীয় হয়ে থাকে। আজকের যারা শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও জ্ঞানের আলো বিকশিতকারী শিক্ষক মন্ডলী রয়েছেন তারা যেন স্মৃতির সেই বিদ্যাপীঠকে অতীতের সুনাম ও ঐতিহ্যকে অনুসরন করে আরো সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারেন সেই প্রত্যাশা থাকল নিরন্তর।
পরিশেষে এ শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী,বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষৎতে যারা এ শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে জ্ঞান অর্জন করবেন তাদের সকলের উদ্দেশ্যে বলবঃÑ
‘যদি লক্ষ্য থাকে অটুট,বিশ্বাস হৃদয়ে,হবেই হবে দেখা,দেখা হবে বিজয়ে” । জয়ঁতু যোগল-কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়।

লেখক : উত্তম কুমার পাল হিমেল
প্রাক্তন ছাত্র- এস এস সি ১৯৯৫ ব্যাচ ।





প্রধান সংবাদ এর আরও খবর

রাঙমাটি জেলা পরিষদে থেকে আওয়ামীপন্থী সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করার দাবীতে মানববন্ধন রাঙমাটি জেলা পরিষদে থেকে আওয়ামীপন্থী সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করার দাবীতে মানববন্ধন
ঈশান তালুকদার মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে গুরু আচারিয পূজা ও সংঘদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ঈশান তালুকদার মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে গুরু আচারিয পূজা ও সংঘদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন
বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই : পার্বত্য উপদেষ্টা বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই : পার্বত্য উপদেষ্টা
ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা নির্বাচন কমিশনের পবিত্র দায়িত্ব ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা নির্বাচন কমিশনের পবিত্র দায়িত্ব
নতুন নির্বাচন কমিশন নাসির উদ্দীন নতুন নির্বাচন কমিশন নাসির উদ্দীন
বঞ্চিত ৪ উপজেলার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি বঞ্চিত ৪ উপজেলার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি
রাউজানে যে হাটে বিক্রি হয় মানুষ রাউজানে যে হাটে বিক্রি হয় মানুষ
ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের ৪৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটি গঠিত ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের ৪৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটি গঠিত
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস
পাইন্দং সংঘারাম বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান সম্পন্ন পাইন্দং সংঘারাম বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান সম্পন্ন

আর্কাইভ