বুধবার ● ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » এসএসসি’র প্রবেশপত্র না পেয়ে বেঞ্চে আগুন
এসএসসি’র প্রবেশপত্র না পেয়ে বেঞ্চে আগুন
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১৯ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.২৮মি.) গাজীপুরে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ থেকে কিছু বেঞ্চ মাঠে জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গীর মুন্ন টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার থেকে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার একদিন বাকি থাকলেও অজ্ঞাত কারণে বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেয়া হচ্ছেনা। এ জন্য শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে তাদের প্রবেশপত্র দাবি করে আসলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সারাদিন বসিয়ে রেখে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রবেশপত্র দেয়নি। এতে বৃহস্পতিবার তাদের পরীক্ষায় অংশ নেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
টঙ্গী থানা পুলিশের ওসি ফিরোজ তালুকদার সিএইচটি মিডিয়াকে জানান এ বছর মুন্নু টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৮জন এবং টঙ্গীর বিভিন্ন স্কুল থেকে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী মুন্নু টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোনো শিক্ষর্থীই পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে এবং কিছু বেঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে টঙ্গী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাই ৩১ জানুয়ারি রাত ৯টায় সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, তিনি প্রবেশপত্র নেওয়ার জন্য বোর্ডে অবস্থান করছেন। তার বিদ্যালয় থেকে ২৮জন শিক্ষার্থী এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তাদের যথাসময়ে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে।
বিলম্বের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “২০১৪ সালে শিক্ষা বোর্ড আমাদের স্কুলের নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন বাতিল করে দেয়। পরের বছর বোর্ডের মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করি।
কিন্তু অনুমোদন না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের স্থানীয় দত্তপাড়া এলাকার ধূমকেতু উচ্চবিদ্যালয় থেকে নিবন্ধন ও ফরম পূরণ করা হয়। কাজটি করতে বিলম্ব হওয়ায় প্রবেশপত্র পেতে কিছুটা দেরি হয়েছে।
তবে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, এই অজুহাত গ্রহণযোগ্য না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।