বুধবার ● ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » কালীগঞ্জে হাসপাতাল ভাংচুর
কালীগঞ্জে হাসপাতাল ভাংচুর
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২৬ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.১৫মি.) রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ ভাঙচুর করা হয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ ৩ চিকিৎসককে মারধর করে আহত করেছেন নিহতের স্বজনরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকরা রাত থেকেই জরুরি বিভাগসহ কমপ্লেক্সের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অরুপ কুমার দাস সিএইচটি মিডিয়াকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কলিঙ্গা গ্রামের মৃত আবদুল আহাদের ছেলে বাবুল মিয়াকে (৪৫) হার্টের সমস্যাজনিত কারণে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৬টা ৩৫ মিনিটে জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু রোগীর আত্মীয় কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া গ্রামের আক্তার মোল্লা, ফয়সাল, জুলহাস, মামুন, সুমনসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন নিজেদের সরকারদলীয় লোক পরিচয় দিয়ে রোগীকে ইনজেকশন দিতে বলেন। কিন্তু ইনজেকশন দিলে রোগীর ক্ষতি হবে, এ কথা চিকিৎসকরা তাদের বোঝানোর চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হন। এ সময়ের মধ্যে হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু হয়। এ সময় রোগীর ওই স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কম্পিউটার, টেবিল-চেয়ার ও চিকিৎসাকাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ভাঙচুর করেন। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মীর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ইনডোর চিকিৎসক আশীষ কুমার বণিক ও উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ আবদুল মোতালিবকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার অরূপ কুমার দাস ছুটে এলে তাকেও তারা লাঞ্ছিত করেন রোগীর স্বজনরা।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার অরূপ কুমার দাস জানান, ঘটনার পর সোয়া ৮টায় কালীগঞ্জ থানায় ফোন করলেও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাত ৯টায়। অথচ কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানার দূরত্ব মাত্র ৫শ’ গজ।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্যক্রম সাময়িক বন্ধ করার পাশাপাশি বুধবার থেকে আউটডোরে চিকিৎসাসেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলম চাঁদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তুমুলিয়া গ্রামের আক্তার মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে।