বৃহস্পতিবার ● ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে কিশোরীকে আটকে রেখে ৮দিন ধরে গণধর্ষণ
বিশ্বনাথে কিশোরীকে আটকে রেখে ৮দিন ধরে গণধর্ষণ
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: (২৭ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৮.১০মি.) বিশ্বনাথে এক কিশোরীকে টানা ৮দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা কিশোরীর বাড়ি ছাতক উপজেলার আফজালালাবাদ ইউনিয়নের দশঘর গ্রামে। এঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে প্রেমিক বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র রুবেল মিয়ার হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ১৭ বছর বয়সী কিশোরী। নিখোঁজের ৩দিন পর ছাতক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন নিখোঁজ কিশোরীর ভাই। প্রেমিক রুবেল তার বাড়ির পার্শ্ববর্তি দোকানে প্রেমিকা কিশোরীকে ইঞ্জেকশন পুশ করে সংজ্ঞাহীন করে আটকে রাখে এবং রুবেল ও তার সহযোগী রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ওয়াব উল্লাহর পুত্র শফিক মিয়া, মৃত সাইদুর রহমানের পুত্র আফজল হোসেন’সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২জনঐ কিশোরীকে টানা ৮দিন গণধর্ষণ করে। এরপর গত সোমবার ৬ ফেব্রুয়ারী বিকেলে কিশোরীকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে সিলেট শহরে পাঠিয়ে দিয়ে তার ভাইকে ফোন করে ধর্ষণকারীরা। এরপর কিশোরীর ভাই সিলেট নগরীর কাজিরবাজার ব্রিজের ওপর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করেন। এসময় অটোরিকশা চালক বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মৃত আবদুন নুরের পুত্র গফুর আলীকে আটক করেন জনতা। এরপর কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং অটোরিকশাসহ আটক চালককে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মকন মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে নিয়ে দফায় দাফায় বৈঠক করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রামপাশা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তাজ উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তির জন্য চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার মেয়েটিকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মকন মিয়া সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, ঘটনার পর সিএনজি চালককে নিয়ে আসলে আমি অভিযুক্তদের এলাকার মুরব্বিদের ডেকে আনি এবং তারা বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তির জন্য আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। অটোরিকশা গাড়িটি সিলেট বাবনা ষ্ট্যান্ডের সেক্রেটারীর জিম্মায় রয়েছে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম পিপিএম সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, এবিষয়ে আমাদের কেউ অবহিত করেনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।