শনিবার ● ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » শিক্ষা » অভিযাত্রা হউক জ্ঞানীর দিকে, জ্ঞানের দিকে নয়
অভিযাত্রা হউক জ্ঞানীর দিকে, জ্ঞানের দিকে নয়
পলাশ বড়ুয়া :: (১৩ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বেলা ১.৩০মি.)
দক্ষিণ কক্সবাজারের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ উখিয়া কলেজের স্নাতক (সম্মান) ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সফর-২০১৭ সম্পন্ন হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) সকাল ১০টায় শিক্ষার্থী মো. আলমগীরের পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, কাকন বড়ুয়া’র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, দীপ্ত দত্তের গীতা থেকে পাঠ শেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ৪টি গাড়ী যোগে মোট ১৭০জনের শিক্ষা সফর যাত্রা শুরু হয়।
সফরকালীন যাত্রাপথে লিংকরোড পৌঁছলে আয়োজক কমিটি সবাইকে নাস্তার প্যাকেট ও সুপেয় পানি বিতরণ করেন। দুপুর ১২টায় সফরের দর্শনীয় স্থান নাইক্যংছড়ি পৌঁছে। উপবন লেকের বিশ্রামাগারে রংপুরের বাসিন্দা ছাবেদ আলী সরকারের গানে মুগ্ধ করেছে সকলকে। চারদিকে যেন শিক্ষার্থীদের ছবি তোলার মহড়া। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের অধীনে পরিচালিত উপবন লেকের ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে এমনটি অভিযোগ দর্শনার্থীদের।
সুউচ্চ পাহাড়ের উপবন জয় করে ক্লান্ত শরীরে ফিরতি রামু রাবার বাগানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। যেহেতু বাংলা বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ আকবরের ব্যবস্থাপনায় মধ্যাহ্ন ভোজের সুব্যবস্থা পূর্ব থেকে নির্ধারিত ছিল রাবার বাগান বিশ্রামাগারে। কলেজের কর্মচারী সাধন বড়ুয়া’র সহযোগিতায় সবার খাবারের প্লেইট নিশ্চিত করলে দেখা যায় কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ চেয়ারে, অনেক আবার সবুজ ঘাসে হাটু গেড়ে বসে খাবারটা সেরে নেয়।
তৎমধ্যে সামিল হন ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রফিকুল আলম চৌধুরী, বাংলা বিভাগের অজিত কুমার দাশ, সমাজ বিজ্ঞানের আলমগীর মাহমুদও। কিছুক্ষণ পরে কলেজ গভর্ণিং বডির সদস্য অধ্যাপক আদিল উদ্দিন চৌধুরী ও এড. আবদুর রহিম যোগ দেন।
সবার খাবার শেষে কলেজ অধ্যক্ষ ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে প্লাবণ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময় সভা।
এতে বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ আবদুল হক, সহকারী অধ্যাপক ফরিদুল আলম চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা’র বিভাগীয় প্রধান শাহ আলম, সমাজ বিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান আলমগীর মাহমুদ, গভর্ণিং বডির সদস্য অধ্যাপক আদিল উদ্দিন চৌধুরী ও এড. আবদুর রহিম।
এ সময় আদিল চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সবার অভিযাত্রা হউক জ্ঞানের মালিকের দিকে, জ্ঞানের দিকে নয়।
ব্যবস্থাপনার বিভাগীয় প্রধান শাহ আলম সবার আন্তরিকতা ও সহযোগিতার পাশাপাশি বিশেষ করে সহকারী অধ্যাপক রফিকুল আলম চৌধুরী, প্রভাষক ছৈয়দ আকবর ও প্রভাষক মৃদুল শর্মার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরো অনুষ্ঠানকে গান পরিবেশন করে প্রাণবন্ত তুলেন সহকারী অধ্যাপক ফরিদুল আলম চৌধুরী’র পরিবেশিত (আমার মন মজাইয়ারে….দিল মজাইয়া..), প্রদর্শক জেসরাত পারভীন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিটন, বৃষ্টি প্রমুখ।
সবশেষে শুরু হয় র্যাফেল ড্র পর্ব। অর্থনীতির প্রভাষক জালাল উদ্দিনের পরিচালনায় ২০টি পুরষ্কারের সমন্বয়ে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানটিও ছিল বেশ উপভোগ্য। একে একে সবকটি পুরষ্কার চলে গেলেও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরষ্কার ৩টি তখনো বাকী। টানটান উত্তেজনা। সবার চোখেমুখে প্রাপ্তির আকাঙ্খা। সবশেষে প্রথম পুরষ্কার বিজয়ী হন শিক্ষার্থী আবদুর রহমান। দ্বিতীয় পুরষ্কার বিজয়ী হন ইতিহাসের অধ্যাপক তহিদুল আলম। তৃতীয় পুরষ্কার বিজয়ী হন প্রভাষক আবদুল আওয়াল।
গোঁধুলিলগ্নে সাগরের তীর ঘেষে দরিয়ার নগর, হিমছড়ি, পর্যটন রানী ইনানী হয়ে কলেজের সবুজ চত্বরে পৌঁছলে উখিয়া কলেজ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষা সফর-১৭ সম্পন্ন হয়।