বৃহস্পতিবার ● ২ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » পাবনা » বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটে মহাপরিচালকের যোগদান
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটে মহাপরিচালকের যোগদান
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (১৮ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৪৪মি.) ২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে দেশের অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিএসআরআই) চত্বরে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে (চিরঞ্জিব বঙ্গবন্ধু) দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন সদ্য যোগদানকারী মহাপরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন, ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, পরিচালক, প্রকল্প পরিচালক ড. সমজিৎ কুমার পাল, বিভিন্ন স্তরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ ও বিজ্ঞানী সমিতির মহাসচিব মো. হাসিবুর রহমান বক্তব্য প্রদান করেন। তারা বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন। এর আগে ড. মো. আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালক বৃন্দ,অফিসার কল্যাণ সমিতি,বিজ্ঞানী সমিতি,কর্মচারী সমিতি ও শ্রমিকলীগের পক্ষ থেকে মুরালে পুষ্প মাল্য অর্পণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানে নতুন মহাপরিচালকের যোগদান উপলক্ষে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডা.শারফুদ্দিন ,সহ সভাপতি প্রকৌশলী আসাদুল হক আসাদ,সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান, শফি আল আমিন মামুন , কাজী শ্রেষ্ঠত্ব প্রত্যাশা, কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন আপাল, সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন,সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক ও প্রচার সম্পাদক আলী আকবর। পরে সকলে মিলে বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন।
মহাপরিচালকের সংক্ষিপ্ত জীবনী:
ড. মো. আমজাদ হোসেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি এক বছরেরও অধিককাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক গবেষণা পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ড. মো. আমজাদ হোসেন পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার দোপমাজগ্রাম নামক গ্রামে ১৯৬৩ সালের ৩০ অক্টোবর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি তাঁর পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর পিতার নাম মরহুম আবুল হোসেন এবং মাতার নাম আছিয়া খাতুন। তিনি কৃতিত্বের সাথে রাজশাহী বোর্ড থেকে ১৯৭৮ ও ১৯৮০ সালে এসএসসি ও এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ১৯৮৪ ও ১৯৮৯ সালে বি. এসসি. এজি. ও এম. এসসি. এজি. ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (তৎকালীন সুগারকেন রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে বিশ্ব ব্যাংক-এআরএমপির বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে জাপানের শিনসু বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন করেন এবং ২০০২ সালে বায়োটেকনোলজীতে পি.এইচ. ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। গবেষণায় ভাল ফলাফলের জন্য জাপানের শিনসু বিশ্ববিদ্যালয় হতে ‘সিলভার মেডেল অব থ্রি রেড পিপার’ পদক লাভ করেন। দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন জার্নাল, বই ও পত্র পত্রিকায় তাঁর ১৩৪ টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি পেশাগত কাজে আমেরিকা, জাপান, চীন, ভারত, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও শ্রীলংকা ভ্রমণ করেন। তিনি বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিএআরসি ও কেজিএফ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত বিভিন্ন প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের গর্বিত জনক।